ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাল থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে

রমনার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ৪০ ভাগ স্মার্টকার্ড বিতরণ

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ১২ অক্টোবর ২০১৬

রমনার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ৪০ ভাগ স্মার্টকার্ড বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে শতকরা ৬০ ভাগের বেশি নাগরিক তাদের স্মার্টকার্ড পাননি। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, ৪০ ভাগ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হলেও ৬০ ভাগ ভোটার কার্ড নিতে ক্যাম্পে যাননি। মঙ্গলবার এ ওয়ার্ডের স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে। তবে যারা নির্ধারিত সময়ে কার্ড সংগ্রহ করেননি তাদের বিতরণ শেষে থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। তারা জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। এজন্য সেগুনবাগিচা হাইস্কুলে বিতরণ ক্যাম্প করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ প্রাঙ্গণে রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়। সোমবার এই ওয়ার্ডের বিতরণের শেষ দিন নির্ধারিত থাকলেও নাগরিকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে তা আরও একদিন বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার বিতরণ শেষে থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহবুবা হেনা জানান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার কার্ড নিতে আসেননি। তাদের ক্যাম্প থেকে আর কার্ড দেয়া হবে না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, নির্ধারিত দিনের পরেও কেউ ক্যাম্পে কার্ড নিতে এলে তাকে কার্ড দেয়া হবে। কিন্তু কোন ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ শেষে অন্য ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ শুরু হলে আগের ওয়ার্ডের কাউকে আর স্মার্টকার্ড দেয়া হবে না। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পে এসে কার্ড সংগ্রহ করেননি তাদের থানা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড নিতে হবে। এজন্য তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রমনা থানার কর্মকর্তারা জানান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৫০৯ জন। গত সোমবার পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ক্যাম্পে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৪২ জনের মধ্যে। কার্ড বিতরণ শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কার্ড নিতে এসেছেন মাত্র ১৫ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১ হাজার ৬৯৭ জনের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিখে রাখা হয়েছে। পরে ফোন করে জানিয়ে দেয়া হবে কোথায় কখন তাদের কার্ড দেয়া হবে। প্রয়োজনে অনেকের কার্ড তার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হবে বলেও তারা জানান। তবে রমনা থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মেহবুবা হেনা জানান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটার থাকলেও ৬০ ভাগের বেশি ভোটার কার্ড নিতে ক্যাম্পে যাননি। তবে যারা গিয়েছেন তাদের বেশিরভাগ কার্ড পেয়েছেন বলে জানান তিনি। সরেজমিন দেখা গেছে, নানান অব্যবস্থাপনা, ভোটারদের সচেতনতার অভাব এবং বিতরণ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঠিক প্রশিক্ষণ না থকায় রাজধানীতে স্মার্টকার্ড বিতরণের হার কম হয়েছে। এক্ষেত্রে ইসির তেমন কোন প্রচার ছিল না। বিতরণ ব্যবস্থায় ছিল অনেকটা বিশৃঙ্খলা। সঠিক তথ্য না জানার কারণে কার্ড না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। এসব কারণে পরীক্ষামূলকভাবে ইসির স্মার্টকার্ড বিতরণ হার অর্ধেকেরও কম। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ৩ অক্টোবর থেকে কার্ড বিতরণ করা হলেও স্মার্টকার্ড নেয়ার ক্ষেত্রে ভোটার সচেতনতার চরম অভাব ছিল। বিভিন্ন কারণে তারা স্মার্টকার্ড নিতে আসেননি। আগামীতে এ সমস্যা মাথায় রেখেই বড় পরিসরে রাজধানীর অন্যান্য থানায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হবে। কার্ড বিতরণের হার কম হওয়া প্রসঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার বিশ্বাস জনকণ্ঠকে বলেন, ২০০৮ সালে এই এলাকায় যারা ভোটার হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ বাসা বদল করে অন্য এলাকায় চলে গেছেন। কিন্তু মূল জাতীয় পরিচয়পত্রে আগের ঠিকানা থাকলেও এ বিষয়ে কেউ অবগত নন।
×