ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু ও অদক্ষ চালকের হাতে ইজিবাইক

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১২ অক্টোবর ২০১৬

শিশু ও অদক্ষ চালকের হাতে ইজিবাইক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১১ অক্টোবর ॥ ইজিবাইকের দৌরাত্ম্যে ঠাকুরগাঁও শহরে পথচারীদের হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে, চৌরাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে শুধু রাস্তা পার হওয়া নয়, ওই স্থানের দোকানপাটে যাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ইজিবাইক চালকরা এখন চৌরাস্তার ওপর বা আশপাশের দোকানের সামনেই যাত্রী ওঠানামা করেন। শুধু তাই নয়, রাস্তার যেখানেই যাত্রী সেখানেই রাস্তার ওপর ইজিবাইক থামানো এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এখন অনেক ইজিবাইক চালাচ্ছে শিশুরা। অদক্ষ চালকের হাতে চলে গেছে ইজিবাইক। যেখানে-সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। ইজিবাইক বিক্রেতাদের তথ্যমতে, দৈনিক ২০টি করে নতুন ইজিবাইক নামছে শহরে। চলাচলের উপযুক্ত রাস্তা থাক বা না থাক ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চৌরাস্তা থেকে আর্ট গ্যালারি পর্যন্ত রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় প্রায় সারাদিন ওই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। আর এ যানজটের মূল কারণ ইজিবাইক। ঠাকুরগাঁও শহরে কোন ওভারব্রিজ ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। শহরের চৌরাস্তায় ২-৩ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। হাতের দেড় ফুট লাঠি নিয়ে ইজিবাইকের বডির পেছনে সজোরে আঘাত করতে করতে তাদেরও প্রাণান্ত অবস্থা। ইজিবাইক চালকরা জানান, তারা প্রতি মাসে গাড়িপ্রতি ৫০০ টাকা হারে নজরানা দেন জায়গামতো। এ টাকা আদায়ের জন্য লোক ঠিক করা আছে। টাকা কে পায়, কোথায় ভাগ হয় তা তারা সঠিক জানেন না। এদিকে ব্যাটারিচালিত রিক্সার দৌরাত্ম্য বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। এগুলো প্রচ-বেগে চলাচল করে। গত সপ্তাহে নরেশ চৌহান রোডে ও আর্ট গ্যালারি মোড়ে দুটি ব্যাটারিচালিত রিক্সা উল্টে শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়। তিতুমীর রোডে দুই নারীকে চাপা দেয় একটি দ্রুতগামী রিক্সা। শহরের অনেকে বলেন, এসব রিক্সা এত জোরে চলে যে, রাস্তা পার হওয়া অসম্ভব। বিপদ মাথায় নিয়েই রাস্তায় চলতে ও রাস্তা পার হতে হয়। অপরদিকে বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জসহ অন্যান্য উপজেলাতেও অটোচার্জার গাড়ির অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। নিয়ম-নীতি না মেনে সব এলাকায় অটোচার্জার গাড়ি চলাচল করছে। চালকদের কেউ অভিজ্ঞ না হওয়ায় এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় চার্জার গাড়ি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলা ও উপজেলায় সব মিলিয়ে এখন অটোচার্জার গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩০-৩২ হাজার। বেশিরভাগেরই অনুমোদন নেই।
×