ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১২ অক্টোবর ২০১৬

পাঁচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ যাচাই-বাছাই ও তদন্ত শেষে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাঁচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে সরকার। গেজেটভুক্ত হওয়ার পরও তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এখন থেকে সরকার ঘোষিত সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। জানা গেছে, তাদের সনদের বিপরীতে মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্তে নামে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তদন্তে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণের স্বপক্ষে কোন গ্রহণযোগ্য দালিলিক প্রমাণ বা তথ্য না পাওয়ায় এদের সনদ বাতিল করে গত ৪ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এই পাঁচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করে। যাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে -মুন্সীগঞ্জ সদরের মধ্য কোর্টগাঁও গ্রামের মফিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোঃ সাহাবউদ্দিন (গেজেট নম্বর-৩১০, ১৪.০৫.২০১৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিজানুর রহমান (গেজেট নম্বর-২০১২, ২৫.০৮.২০১১)। কিশোরগঞ্জ সদরের বত্রিশ (ইসলামপুর) গ্রামের মৌলানা মোঃ হুসেনের ছেলে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (গেজেট নম্বর-১০৪, ১২.০৫.২০০৫), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মোলামের ডাঙ্গী গ্রামের এমডি আলম বেপারীর ছেলে আবদুল মালেক (গেজেট নম্বর-৩৪৩, ০৯.০১.২০১২) ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়নালাই গ্রামের হাজি মোঃ ইয়াছিন আলীর ছেলে মোঃ আবদুস সামাদ (গেজেট নম্বর-৩৪৪৭, ২৮.১১.২০১৩)। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সনদ নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ॥ ৫ জনকে জরিমানা রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার ৬০ ফুট সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে সোমবার দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম অজিয়র রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় ফুটপাথ দখলকারী পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর অধীনে ৩ জনকে ১১ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর অধীনে ২ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলাও করা হয়। এদিকে একই দিন একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে মহাখালী এলাকায় তাদের ২টি বড় এবং ২টি মাঝারি আকারের বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু করে। Ñ বিজ্ঞপ্তি
×