ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা কেন পাচ্ছে না বাংলাদেশ তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১২ অক্টোবর ২০১৬

 শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা কেন পাচ্ছে না বাংলাদেশ তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তহবিল গঠন হয়, কিন্তু অর্থ মেলে না- জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই অভিযোগ তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে বৈঠকে এই বিষয়টি সুরাহায় উন্নত দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। হয় হয় করেও কেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক শিল্প শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার পাচ্ছে না তাও জানতে চেয়েছেন দেশটির রাজস্ব বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আইএমএফের গবর্নরদের আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনের পরই সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্ড। বৈঠকে বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি। গত বৈঠকের ধারাবাহিকতায় এবারও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গঠিত তহবিল এবং ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ড. জিম ইয়ং কিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তহবিল নিয়ে তিনি অভিযোগ জানান। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু নিয়ে বাংলাদেশ যে কষ্ট ভোগ করছে তার জন্য বাংলাদেশ নিজে দায়ী নয়। পুরো বিশ্বের কারণে বাংলাদেশকে দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে। ‘তাদের কার্বন নিঃসরণের কারণে এসব হচ্ছে। আর আমরা এত টাকা বিনিয়োগ করছি, যেন আমরা বেঁচে থাকতে পারি।’ বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ সম্মেলনের ফাঁকে অর্থমন্ত্রী বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি মাইকেল কাল্পানের সঙ্গে। বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর ফজলে কবিরও বৈঠক করেন তার সঙ্গে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) তালিকায় শুধু বাংলাদেশ ও রাশিয়া ছাড়া সবার বাণিজ্য ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি। বাকি সবাই আমদানি সুবিধাদি পায়, শুধু বাংলাদেশ আর রাশিয়া ছাড়া।’ সরকারী ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সম্মানী বাড়ছে ছয়গুণ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের সর্বোচ্চ মাসিক সম্মানী ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, চেয়ারম্যানদের সর্বোচ্চ মাসিক সম্মানী হবে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে এ সম্মানী পাঁচ হাজার টাকা। এ হিসাবে তাদের মাসিক সম্মানী পাঁচগুণ বেড়েছে। তবে প্রত্যেক পর্ষদ বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য তারা যে সম্মানী পেতেন, তা-ও বহাল রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সবকিছু বিবেচনা করে মাসিক সম্মানী নির্ধারণ করবে। নিজ নিজ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানের আকার, আয়তন, লাভ-লোকসানের পরিস্থিতি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে চেয়ারম্যানদের মাসিক সম্মানী নির্ধারণ করবে।
×