ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শরীফা খন্দকার

স্বপ্নের ডানায় বাল্টিমোর ওরিওল পাখি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১২ অক্টোবর ২০১৬

স্বপ্নের ডানায় বাল্টিমোর ওরিওল পাখি

টিভিতে তখন সান্ধ্য সংবাদের অনুষ্ঠান শেষে খেলার নিউজ শুরু হবে। আজ ছিল বাল্টিমোর ওরিওলসের বিরুদ্ধে টেক্সাস রেনজার্সের মেজর লীগ বেজবল প্রতিযোগিতা। বালক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল আমেরিকানের কাছে বেজবল জনপ্রিয়তম ক্রীড়া। কিন্তু সসঙ্কোচেই এখানে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই প্রবাস জীবনের আড়াই দশকেও মার্কিন দেশের ফুটবল ও বেজবল সমঝদার হওয়া তো দূরে থাক আমাকে বেকুবও বলা যেতে পারে। আগে কেইবা জানত ফুটবল খেলে পায়ে নয় হাতে এবং বেজবল খেলা আর বল দুটোরই নাম হচ্ছে বেজবল? সত্যি কথা বলতে কি, ক্রিকেট আর পায়ে খেলা ফুটবলের দেশ থেকে আগত আমার মতো বহু ইমিগ্র্যান্ট মানুষের হৃদয় হরণ করতে পারেনি সব জনপ্রিয় মার্কিন স্পোর্টস। ক্রিকেটের দেশ ইংল্যান্ড থেকে আগত মানুষেরই নিয়ে আসা গেম বেজবল এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিক থেকেই এই গেম অভিষিক্ত হয়েছে মার্কিন জাতীয় ক্রীড়ার মর্যাদায়। নিরুত্তাপ হয়ে সেটা কখনও দেখা হয় টিভি পর্দার নিউজে। উঠে গিয়ে খাবার রেডি করতে রান্নাঘরের দিকে ক’ পা এগিয়েছি কি এগোইনি বুঝি। ঘরে ফিরে নিউজ দেখতে এতক্ষণ পাশে বসা বাড়ির কর্তা হঠাৎ উত্তেজিত কণ্ঠে বললÑ ‘আরে দাঁড়াও দাঁড়াও দেখ এক আশ্চর্য ঘটনা!’ তাকিয়ে দেখলাম বাল্টিমোরের ম্যারিল্যান্ড ক্যামডেন ইয়ার্ডসের জমকালো স্টেডিয়াম। ঐতিহ্য অনুসারে বেজবলের গৌরবম-িত ফার্স্ট পিচটি ছুড়ে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করে থাকেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কিংবা প্রখ্যাত খেলোয়াড়। ওয়াশিংটন ডিসির পাশেই মেরিল্যান্ড রাজ্য অবস্থিত হওয়ার কারণে বাল্টিমোরে এসেছেন বিল ক্লিন্টন, জর্জ বুশসহ অনেক দেশী-বিদেশী রাষ্ট্রপতি। হয়ত আজও সুপরিচিত কোন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব আসছেন ফার্স্ট পিচারের ভূমিকা পালন করতে। কিন্তু সেদিন বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে বাল্টিমোরের ক্যামডেন ইয়ার্ডসে গেস্ট অব অনারের মর্যাদায় ফার্স্ট পিচ করতে যাকে ছুটতে দেখলাম পিচার মাউন্ডের দিকে সে যে ক্ষুদ্র এক বালক মাত্র! বাল্টিমোর মেজর বেজবল লীগের নাম ‘বাল্টিমোর ওরিওলস’ মেরিল্যান্ড রাজ্যের স্টেট বার্ড বাল্টিমোর ওরিওলসের নাম অনুসারে। অপরূপ সেই সুন্দর ছোট্ট পাখির ডানায় ভেসে যাওয়া পরিচিত মুখচ্ছবির বালকটি কে? জায়ান হার্ভি নামটা শুনেই দুচোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়। ওকে নিয়েই কি আমি জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতায় লিখেছিলাম ‘জায়ানের স্বপ্নের হাত’? ওকেই কি ক’মাস আগে এনবিসিতে পেলাম হস্ত সংযোজনের এক অসাধারণ সার্জন ড. লেভিনের সঙ্গে? এরই মধ্যে কিছুটা বেড়ে গেছে বলে অচেনা ঠেকছিল যেন আজকের পাখি ডানায় উড়া বালকটিকে। ১৯১০ সালে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ড টাফট ওয়াশিংটন ডিসির গ্রিফিথ স্টেডিয়ামে বেজবলের সেরিমোনিয়াল পিচ বাইরে ছোড়ার শুরুটি করেছিলেন প্রথম। এরপর থেকেই প্রায় সকল রাষ্ট্রপতি তার সময়ে অন্তত একবার হলেও পালন করেছেন ফার্স্ট পিচারের ভূমিকা। রাষ্ট্রপতি ওবামা পূর্ণ করেছিলেন এই অনুষ্ঠানের শতবর্ষ। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত সেই নিক্ষেপণ ছিল গ্যালারির গ্রান্ড স্ট্যান্ড থেকে। মজার ঘটনা এক সময়ের অভিনেতা প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ১৯৮৮ সালে শিকাগো রিগস ফিল্ড গ্যালারির অভ্যন্তরে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চাননি। শিকাগোর রিগস ফিল্ডে নীল জ্যাকেট পরা ৭৪ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি রিগ্যান আচমকা সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে পিচার মাউন্ড থেকে তার বল ছুড়লেন হোম প্লেটের দিকে। শুধু তাই নয়, মাঠে খেলোয়াড়দের মাঝে বিচরণ করতে করতে নায়কোচিত কায়দায় দ্বিতীয়বারের মতো তিনি আবারও এক পিচ করলেন পকেটে লুকিয়ে রেখে দেয়া একটি বল দিয়ে। সেই থেকে গেস্ট অব অনারদের জন্য মাঠে এসেই আনুষ্ঠানিক ফার্স্ট পিচ করাটাই রীতি হয়ে দাঁড়ায়। তবে দু’দুবার পিচ করার সম্ভবত কোন উদাহরণ আর নেই। সেদিন মঙ্গলবারের দেখানো নিউজের ইতিহাস সূচনাকারী খেলাটি ছিল বাল্টিমোর ওরিওলস দল বনাম টেক্সাস রেঞ্জার্স। মেরিল্যান্ডের ওউইং মিল থেকে আগত নয় বছরের এক লড়াকু বালক বীর জায়ান হার্ভি সেদিন ছিল বেজবলের ময়দানের নায়ক। অসংখ্য দর্শকের চোখের মণি ওরিওলস দলের হয়ে নবীন ফার্স্ট পিচার লিখে গেল আর এক নতুন ইতিহাস। এবিসি নিউজ মিডিয়ায় একদিন সকালে জায়ান হার্ভি নামে হস্তপদহীন কৃষ্ণ বালকটিকে দেখে আমি লিখেছিলাম ‘জায়ানের স্বপ্নের হাত।’ শৈশবেই কৃত্রিম দুটি পা নিয়ে যে জীবনের পথে আশ্চর্যভাবে চলতে শিখেছিল। ওর বয়সী বালকের মতো সে হাঁটতে পারত, খেলতে পারত, এমনকি ছুটতে পর্যন্ত পারত। ফর্ক কিংবা স্পুন ধরে আহার করে, লেখালেখি করে, বাজনা বাজিয়ে, আরও কতকিছু করেছে সে কব্জিছেঁড়া হাত দিয়ে। দেহের কঠিনতম বঞ্চনা নিয়েও যার খুশির কোন অন্ত ছিল না। অবশ্য পরবর্তী সময়ে এক সলাজ সাক্ষাতকারে সে প্রকাশ করেছিল সব সময়ে তার ছোট্ট হৃদয়ের গভীর গোপনে নাকি আকাক্সক্ষা ছিল শুধু স্বপ্নের দুটি হাত। কয়েক মিনিট বাদে একই অনুষ্ঠানে নানা মিডিয়ায় প্রচারিত ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেন হসপিটালের লাইভ সংবাদ সম্মেলনে ফের আট বছরের বালকটিকে দেখেছিলাম। লবিতে যার পাশে দাঁড়ানো মা প্যাটি রে এবং ৪০ সহযোগী নিয়ে প্রধান চিকিৎসক ডাঃ লেভিন, যিনি জায়ানের হস্ত সংস্থাপনের এসব সহযোগী সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ছোট্ট বালকের একাকী শয্যায় তারা সবাই মিলে যেন তৈরি করেছিল একটি ছোট গ্রাম, যাদের নির্দিষ্ট কোন নাম বা পেশা ছিল না। আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে দেখলাম ওর তিন বছর বয়সে কব্জির পর থেকে কেটে ফেলে দেয়া হাত দুখানির বদলে দুটি জীবন্ত নিটোল শিশু হাত আর পাঁচটি করে কচি কচি আঙ্গুল। টিভির ক্যামেরা বিশ্বের প্রথম শিশু হস্ত সফল সংযোজনের একটি বিস্ময়কর কর্মকাণ্ড দেখিয়ে আমার হৃদয়কে ছোট ছোট মেঘ বানিয়ে সেদিন উড়িয়ে দিয়েছিল এমন আনন্দময় আকাশে যে, আমি ওকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। ট্রান্সপ্লান্টেশন সফল হলেই বাইরের একটি অঙ্গকে শরীর ভালবেসে আপন করে নেবে সেটা না-ও হতে পারে। প্রত্যাখ্যানের ভয়াবহ পরিণতিও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়। খুব জানতে ইচ্ছে করত ডাবল হ্যান্ডট্ ট্রান্সপ্লান্টেশনের পর ছোট্ট দুই অচেনা হাতে সে কিভাবে আলিঙ্গন করল নবীন জীবনকে! প্রায়ই মিডিয়াগুলোতে ব্যাপারটি খোঁজার চেষ্টা করতাম উদ্বেগ নিয়ে। কিন্তু এক বছর অবধি ওর সম্পর্কে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। হঠাৎ করে বছর পেরোবার পর এনবিসির কাছে মুখ খুললেন এতদিনের নীরব ডাঃ লেভিন। তিনি বললেন, এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমরা একটি টিম হিসেবে কঠিন কাজ করে যাচ্ছি। সবাই মিলে এখনও শিখছি ওর ব্যাপারটা। তাকে ক্লিনিকে দেখছি, পারস্পরিক প্রশ্ন-উত্তর চলছে। ট্রান্সপ্লান্টেশনের প্রস্তুতির সময়ের মতোই আমরা গ্রহণ করে চলেছি নতুন চ্যালেঞ্জগুলো। তিনি আরও বললেন- হ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশনের পর শিশুটির সামনে এসেছিল অগুনতি ভয়াবহ সমস্যা। এক পর্যায়ে ভীতিকরভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছিল ওর দেহ প্রত্যাখ্যান করছে বাইরে থেকে সংযোজিত অঙ্গ দুটিকে। কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠতে পারা গেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সময় নিয়েছিল অনেক। শুধু শরীর যন্ত্র নয়, জায়ানের মস্তিষ্ককেও শিখতে হয়েছিল হাত ব্যবহারের নতুন প্রক্রিয়া। কিন্তু হাল না ছেড়ে অসম সাহসী খুদে বালক ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়েছে। মিডিয়াতেই আবার একদিন দেখলাম ওর চিকিৎসক ডাঃ লেভিনকে। সেদিন বললেন, কাল রাতে জায়ানকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে সে নিজ হাতে ইউটেনসিল ব্যবহার করে ব্রেডে মাখন লাগিয়েছে, খাবার খেয়েছে। আগে ওর হাতবিহীন শরীরে মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করত সেভাবে আর করা সম্ভব নয়। ওর ব্রেনকে রিলারন করতে হচ্ছে নতুন হাতের কর্মকা-। কাল আমরা দুজন ঘুষোঘুষি খেলাও করেছি সেই রেস্তরাঁতে। শুনতে শুনতে মনে পড়ছিল আমাদের ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মার্কিন এক বড় বন্ধুর নাম- তিনিও ডাঃ লেভিন । এনবিসির একই সাক্ষাতকারে জায়ানও এসেছিল মা প্যাটির সঙ্গে। ওইটুকু বালক খুব অবাক করা বাক্যে বলেছিল, ‘অস্তিত্বের নিরুদ্দিষ্ট খ- এই দুটি হাত আবার ফিরে পেয়ে পূর্ণাঙ্গ হলো আমার জীবন।’ তিন বছর বয়সে তাকে কিডনি ডোনেট করেছিলেন যে মা তার দিকে এবার তাকিয়ে বলল, ‘আমার মা ছাড়া আমি ঠিক এই মুহূর্তে এমন অবস্থানে থাকতে পারতাম না।’ আজ শুরু করেছিলাম ক্যামডেন ইয়ার্ডসের সৌভাগ্যের বরপুত্র জায়ানকে নিয়ে। এ্যাথলেটের একান্ত নিজস্ব ওরিওলস জার্সি এবং বেজবল ক্যাপ পরা, হাতে বল নিয়ে ক্যামডেন ইয়ার্ডসে নেতৃত্বদানকারী জায়ান ছুটছিল গৌরবময় ফার্স্ট পিচ করতে। পিচার মাউন্ডের ওপর দাঁড়িয়ে আউট ফিল্ডার এডাম জোনসের দিকে তার ছোড়া বলটি গিয়ে পড়েছিল হোম প্লেটের কয়েক ফিট দূরে। উল্লাসে ফেটে পড়ছিল পুরো গ্যালারি ও মাঠ, কারও কারও চোখে অশ্রু। গেম এ্যানাউন্সার বললেন, ‘গত বছরের সম্পূর্ণ সময়টা সে পরিশ্রম করেছে সংযোজিত নতুন হাতের কর্মকৌশল আয়ত্ত করতে। অথচ এই সময়টাতেও প্রচ- ধৈর্যের সঙ্গে সে তার ব্যক্তিগত জীবনে পার করছে কঠিন কঠোর অব্যাহতিহীন হ্যান্ড থেরাপির সেশন।’ জায়ানের অকুপেশনাল থেরাপিস্ট কেলি ফেরি সেই খেলার মুহূর্তটি স্মরণ করে পরে বললেন, ‘তার পিচ করা দেখে বুঝেছি কি অসাধারণ প্রগ্রেস করেছে সে। গেমসে সেরিমনিয়াল ফার্স্ট পিচ থ্রো আউট করতে গিয়ে কুড়িয়ে নিল তার হ্যাট, এরপর পরে নিল ব্যাকওয়ার্ডে। আমরা শুধু বিস্ময়ের সঙ্গে এসব ছোট সেলফ কেয়ার কাজ করতে তাকে দেখছিলাম।’ ওরিওলস দল ৫-১ বলে জিতে বড় এক জয় পেয়েছিল সেদিন রেঞ্জারসের বিরুদ্ধে। আর সেখানে হার্ভির ছিল বিশেষ ভূমিকা। ‘জায়ান এই খেলায় ছিল এমন এক অশ্বারোহী সৈনিক যে তার পিচ ছুড়ে যেন বেদম রকম ধাওয়া করেছিল মাঠকেÑ বলেছিলেন বিখ্যাত ওরিওলস খেলোয়াড় আউট ফিল্ডার এডাম জোন্স। চিলড্রেন হাসপাতাল চিকিৎসকগণ খেলা শেষে তাদের স্টেটমেন্টে বলেছেন, ‘জায়ান ওয়াজ এ চ্যাম্পিয়ন থ্রু দি প্রসেস!’ ওই বয়সটাতে মার্কিন যে কোন দুরন্ত বালক স্বপ্ন দেখে একজোড়া বেজবল দস্তানা আর একটি ব্যাটের। হয়ত স্কুল টিমের পিচার হওয়ার ইচ্ছাটিও থাকে মনের ভেতর। কিন্তু কোন স্কুল টিমের হয়ে খেলা নয়, মেজর বেজবল লীগের ফার্স্ট পিচার হওয়াটা তার অসম্ভব কল্পনা। জায়ানের এটুকু বয়সের এমন বিপুল সম্মাননার পর মা প্যাটি বললেন, তার সন্তানের জীবনে এটাই শুধু একটা অত্যাশ্চর্য ঘটনা নয়। সেই শৈশবে কিডনি ও পরবর্তী সময়ে হাত-পা হারানোর পর থেকে ভাবনার অতীত অনেক অসাধারণ কাজ সে করেছে। ছোট্ট জীবনটাতে এত কঠিনতম বাধাবিঘœ ডিঙ্গাতে হয়েছে। বহু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনের পর দিন এসব প্রতিরোধের সামর্থ্য রাখেন কিনা আমি জানি না। আজকের এইদিনে ছোট্ট জায়ান পেরিয়ে যেতে সক্ষম হলো তার আশ্চর্য জীবন দৌড়ের আর একটি হার্ডল। পরবর্তী সময়ে মা প্যাটি আরও যা বললেন তাতে মনে হয় দুনিয়ার সব মা-ই বুঝি এক রকম। ‘আমার ছোট্ট শিশুটি দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। ভীষণ রকম স্বাবলম্বী হয়ে সব কাজ এখন সে নিজের হাতে করতে পারে, মাকে এখন আর প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজন নেই তার।’ প্যাটি নামের মার্কিন মাতার কণ্ঠস্বর কি একটু টনটন করে উঠেছিল? লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখিকা
×