ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গী আকাশের বাড়ি সিরাজগঞ্জে, পুরো পরিবার জেএমবিতে যুক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ অক্টোবর ২০১৬

জঙ্গী আকাশের বাড়ি সিরাজগঞ্জে, পুরো পরিবার জেএমবিতে  যুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ গাজীপুরের নোয়াগাঁও এলাকার পাতারটেকে ৮ অক্টোবর পুলিশী অভিযানে নিহত ছয় জেএমবি সদস্যের একজন ফরিদুল ইসলাম আকাশ সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের বরইতলীর সন্তান বলে তার পরিবার নিশ্চিত হয়েছে। ডিএমপির প্রকাশিত ছবি দেখে আকাশের চাচা সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত হয়েছেন। ফরিদুল ইসলাম আকাশ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার চার্জশীটভুক্ত আসামি বলেও পুলিশ নিশ্চিত করেছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গী কর্মকাণ্ডের মামলায় আকাশ অন্যতম আসামি। ওই মামলায় আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার পুরো পরিবার জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। মা-বোনসহ পরিবারের তিনজন এখন কারাগারে। এর পর থেকেই পুলিশ ফরিদুল ইসলাম আকাশকে খুঁজছিল। পুলিশের কয়েক দফা অপারেশনেও আকাশ অল্পের জন্য রক্ষা পান। এর পর থেকে আকাশ আর এ অঞ্চলে ফিরে আসেনি। এর পর ৮ অক্টোবর গাজীপুরের নোয়াগাঁও এলাকার পাতারটেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অভিযানে অন্য ছয়জনের সঙ্গে নিহত হন ফরিদুল ইসলাম আকাশ। নিহত আকাশ নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আকাশই সিরাজগঞ্জের সেই আকাশ বলে ধারণা করার পর তার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ খবর পাঠিয়ে আকাশের চাচা সাইফুল ইসলামকে দিয়ে আকাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়। পুলিশ বলছে, আকাশের বাবা-মাসহ তার পরিবারের সকল সদস্য জঙ্গী কর্মকা-ে জড়িত। গত ৫ সেপ্টেম্বর আকাশের গ্রামের বাড়ি বরইতলীতে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ আকাশের মা ফুলেরা খাতুন (৪৫), দুই বোন সাকিলা খাতুন (১৮), সালমা খাতুন (১৬) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে (৩৫) আটক করে। তবে এ ঘটনার পর থেকে আকাশের বাবা আবু সাঈদ পলাতক রয়েছেন। আটক সবাই জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বরইতলী গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ফরিদুল ইসলাম আকাশ ২০১৫ সালে সিরাজগঞ্জের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা করেন। পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ সোমবার জানান, মূলত ফরিদুলের প্ররোচনায় তার দুই বোন ও মাসহ প্রতিবেশীরা জেএমবি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার পুরো পরিবার এখন জেএমবির সঙ্গে যুক্ত।
×