ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন নারী ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীতে আরও এক ডজন জঙ্গী দম্পতি আত্মগোপনে

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ অক্টোবর ২০১৬

 রাজধানীতে আরও এক ডজন জঙ্গী দম্পতি আত্মগোপনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে আরও এক ডজন জঙ্গী দম্পতি এখন আত্মগোপন করে আছে। তাদের সম্ভাব্য আস্তানায় র‌্যাবের সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। যে কোন সময় তাদের আটক করা হতে পারে। তাদের সঙ্গে কারা যোগাযোগ করছে, তাদের পরবর্তী টার্গেট সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এদিকে আজিমপুরের আস্তানা থেকে আটক তিন নারী জঙ্গীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। র‌্যাব মিডিয়া পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, সম্প্রতি রাজধানীতে দুই জঙ্গী দম্পতি আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সে তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও বেশ কয়েকটি দম্পতি যে এখনও সক্রিয় রয়েছে সেটা নিশ্চিত। এদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, আজিমপুরের আস্তানা থেকে আটক তিন জঙ্গীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের মতোই আরও কয়েকটি দম্পতি রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নব্য জেএমবির প্রথম সারির নেতৃত্বে থাকা দুই নারীর বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা স্বামী-সন্তান নিয়েই ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। এদের একজন বেশ উচ্চশিক্ষিত বলে গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। তার গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। র‌্যাব সূত্র জানায়, আজিমপুরের আস্তানার মতোই কয়েকটি বাসায় এসব নারী জঙ্গী স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছে। সম্প্রতি র‌্যাব ও মহানগর পুলিশের নিজস্ব এ্যাপস চালু করার পর জঙ্গী সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। এ দুটো এ্যাপসেই জঙ্গী সংক্রান্ত হাজার হাজার অভিযোগ পড়ছে। রাজধানীর কোন কোন মহল্লায় সন্দেহভাজন নারী জঙ্গী আছে সে ধরনের তথ্যও পাওয়া গেছে। ওই তথ্যের সূত্র ধরেই চলছে র‌্যাব পুলিশের নজরদারি। সঠিক তথ্য প্রমাণাদি হাতে নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই অভিযান চালানো হতে পারে সন্দেহজকন আস্তানায়। সম্প্রতি ধরা পড়া দুই জঙ্গী দম্পতির কাছ থেকেও এদের সম্পর্কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে গোয়েন্দারা। সর্বশেষ শনিবার আশুলিয়ার পাঁচতলা আস্তানা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হওয়া জঙ্গী অর্থ যোগানদাতা আবদুর রহমান আইনুলের স্ত্রী শাহনাজ রুমা ও তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে আটক করা হয়। এখন শাহনাজকে জঙ্গী হিসেবে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। র‌্যাব জানিয়েছে, নিহত আবদুর রহমানের আস্তানায় বিপুল পরিমাণ টাকা, জিহাদি বই পুস্তক, অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ ছিল সেটা তো শাহনাজ রুমা জানতেন। তিনি তা জেনেও তো ওই স্বামীর সঙ্গে সংসার করেছে এবং সহযোগিতা করেছে- যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। তিনি তো পারতেন স্বামীর এ সব জঙ্গী কর্মকা-ের প্রতিবাদ করে থানা পুলিশকে জানিয়ে সুনাগরিকের প্রমাণ দিতে। তার মতো এমন আরও অন্তত এক নারী রয়েছে যারা স্বামীর জঙ্গী তৎপরতায় সক্রিয় সহযোগিতা করছেন।
×