ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবকে মার্কিন হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনে দাফন অনুষ্ঠানে বিমান হামলায় নিহত ১৪০

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ অক্টোবর ২০১৬

ইয়েমেনে দাফন অনুষ্ঠানে বিমান হামলায়  নিহত ১৪০

ইয়েমেনে শনিবার দাফন অনুষ্ঠানে বিমান হামলায় ১৪০ জনের বেশি নিহত ও ৫২৫ জনের বেশি আহত হয়েছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনকে দায়ী করেছে। তবে কোয়ালিশন এই হামলার কোন দায় দায়িত্ব অস্বীকার করেছে। খবর এএফপি ও বিবিসির। কোয়ালিশন ২০১৫ সালের মার্চে শিয়া হুতিদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা শুরু করার পর এই হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি। রিয়াদের প্রধান মিত্র ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনকে দেয়া সমর্থনের বিষয়টি ‘তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা’ করতে শুরু করেছে। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন নিরাপত্তা সহযোগিতার অর্থ এই নয় যে, যা খুশি তা-ই করা যাবে। ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, রাজধানী সানায় কমিউনিটি হলে এই হামলায় ত্রাণকর্মীরা ‘মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ’। তিনি অবিলম্বে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, ইয়েমেনে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতা অবিলম্বে থামাতেই হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জরুরী ত্রাণ সমন্বয়ক স্টিফেন ও’ব্রায়েন এই হামলার ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বেসামরিক লোকজনের জীবন রক্ষা করতে এবং ইয়েমেনের জনঅধ্যুষিত এলাকায় বিস্ফোরক অস্ত্র প্রয়োগ অথবা বিমান থেকে গোলাবর্ষণ থামাতেও সকল পক্ষের প্রতি আমি আহ্বান জানাই।’ এদিকে, সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন রবিবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একত্রে বিমান হামলার ঘটনা তদন্ত করতে প্রস্তুত। বিদ্রোহী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর মিত্র ও হুতি নিয়োগপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গালাল আল-রাবিশানের পিতার দাফন অনুষ্ঠানে শনিবারের এই হামলা হয়। এতে শত শত বেসামরিক নাগরিক উপস্থিত ছিল। এই হামলায় বেশ কয়েকজন হুতি বিদ্রোহী সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার জরুরী কর্মীরা বিধ্বস্ত ভবন থেকে পুড়ে অঙ্গার ২০ জনের দেহাবশেষ তুলে আনেন। উদ্ধারকর্মী মুরাদ তাওফিক ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের হ্রদ’র সঙ্গে তুলনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে পোড়া ও অঙ্গহানি লাশ দেখা যায়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে লোহিত সাগর শহর মখায় কোয়ালিশনের বিমান হামলায় অন্তত ১৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট তখনও হামলায় কোন প্রকার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল। এ বছরের মার্চে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হাজ্জায় একটি মার্কেটে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় ১০৬ বেসামরিক নাগরিকসহ ১১৯ জন নিহত হয়।
×