ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হিলি বন্দরে আমদানি বন্ধে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ অক্টোবর ২০১৬

হিলি বন্দরে আমদানি  বন্ধে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১১ থেকে ১২ টাকা। দুর্গাপূজা ও আশুরাসহ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ৮দিনের জন্য এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ-উল-আযহার আগে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ থেকে ৯০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও লোকসানের কারণে বর্তমান আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। দুর্গা পূজার বন্ধের আগ পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ ছিল প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৪৫ ট্রাক। রবিবার হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পাটনা জাতের ছোট, বড় ও মাঝারি, বেলোরী ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ পাইকারি (ট্রাকে বিক্রি) ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল প্রকার ভেদে ১১ থেকে ১৪ টাকা। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সে সময় স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ছোটবড় সব আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছিলেন। ফলে চাহিদার তুলনায় সে সময় অনেক বেশি আমদানি হওয়ায় দাম কমিয়ে দিয়েও ক্রেতা না পাওয়ায় অনেক পেঁয়াজ গুদামেই নষ্ট হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছেন আমদানিকারকরা। এ কারণে আমদানিকারকরা ঈদের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে। বন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে ১ অক্টোবরে ভারত থেকে ৫৭ ট্রাকে ১ হাজার ১৪১ টন, ৩ অক্টোবর ৭০ ট্রাকে ১ হাজার ৩৫৪ টন, ৪ অক্টোবর ৮০ ট্রাকে ১ হাজার ৫৮৪ টন, ৫ অক্টোবর ৯৫ ট্রাকে ১ হাজার ৮৯২ টন, ৬ অক্টোবর ৮১ ট্রাকে ১ হাজার ৫৭৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এক্ষেত্রে ৫ দিনে আমদানি হয়েছিল ৩৮৩ ট্রাকে ৭ হাজার ৫৫০ টন। পক্ষান্তরে এ বছর আগস্ট মাসে ১ হাজার ৭৫৭ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৯৬ টন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১ হাজার ৯৪ ট্রাকে ২১ হাজার ৮৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
×