ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ঝুঁকি নিরোধকারী দেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১০ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশ ঝুঁকি নিরোধকারী দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ॥ শাহজাদপুুর উপজেলার বাঘাবাড়ী মিল্কভিটার আওতাভুক্ত সমবায়ী খামারিদের দুধের সঠিক মূল্য ও বোনাস বৃদ্ধি না করায় তাদের বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহত্তর পাবনা জেলার প্রায় ২ লাখ দুগ্ধ খামারিদের দুধের মূল্য ও বোনাস বৃদ্ধি না করায় গত ৪ মাসে খামারিরা মিল্কভিটায় দুগ্ধ সরবরাহ কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নিয়ে এসেছে। এ কারণে গত রমজান মাস ও ঈদ-উল-আজহায় মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দুগ্ধ সরবরাহ করতে পারেনি। স্থানীয় সমবায়ী দুগ্ধ খামারিরা এ বিষয়ে মিল্কভিটাার বিরুদ্ধে নানা অভিযোাগ উত্থাপন করেন। বেশ কয়েকজন খামারি জানান, মিল্কভিটা প্রতিলিটার দুধের মূল্য দিচ্ছে ৩৪/৩৬ টাকা। অপরদিকে ঘোষ ও পাইকারী দুধ বিক্রেতারা ওই দুধের মূল্য দিচ্ছে প্রতিলিটার ৪২/৫২ টাকা। ফলে তারা বিশাল অংকের এই লোকসান ঠেকাতে গিয়ে মিল্কভিটায় দুগ্ধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে পাইকারী বাজারে ও বিভিন্ন দুগ্ধ পক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। মিল্কভিটার দুধের সম্পূরক বোনাস ২ টাকার স্থলে ১ টাকা কমিয়ে আনায় বৃহত্তর পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার রেজিভুক্ত ও রেজি. বিহীন মোট এক হাজারেরও অধিক দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই সব দুগ্ধ খামারিরা প্রতিদিন বাঘাবাড়ী মিল্কভিটায় দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ লিটার দুগ্ধ সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ দুধের ন্যায্য মূল্য না দেয়ায় তারা উৎপাদিত দুধের অর্ধেক পরিমাণ দুধ মিল্কভিটায় সরবরাহ করছেন। ফলে মিল্কভিটায় পরিপূর্ণ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় তারাও লোকসানে পরেছে। এ বিষয়ে বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানার সমিতি বিভাগের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম বলেন, সাময়িকভাবে দুধের সরবরাহ কিছু কম থাকলেও বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
×