ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রেলস্টেশনে ছেঁড়া বস্তার ওপর ফুটফুটে শিশুর জন্ম

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৯ অক্টোবর ২০১৬

রেলস্টেশনে ছেঁড়া বস্তার ওপর ফুটফুটে শিশুর জন্ম

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশনে ফুটফুটে এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। এই নারী স্টেশনের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করেন। রাবির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা বা খাবার চেয়ে দিনাতিপাত করতেন। এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীটি কোন লম্পটের লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। অবশেষে ঠিকানাহীন এ ভারসাম্যহীন মা জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক নবজাতক। নিদারুণ অবহেলায় শিশু জন্মের পর তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি যখন দেখেন তখন রক্তে ভেসে গেছে স্টেশনের বদ্ধ রুমের মেঝে। একটা ময়লা, ছেঁড়া বস্তার উপর শুয়ে আছেন মা। পাশেই নোংরা একটা গেঞ্জির ওপর হাত-পা নাড়ছে সদ্যজাত শিশুটি। মায়ের প্রচ- ব্লিডিং হচ্ছিল। কাঁপছিল শিশুটি। কিভাবে কী করা যায়? দিশা নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল আমরা কয়েকজন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্টেশন বাজারের বিশ্রামাগারের পাশে জন্ম নেয় শিশুটি। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মা ও শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিশুটির নাম রেখেছেন ‘স্বপ্ন’। রফিকুল জানান, আশপাশে কোন মহিলা নেই যে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুটির নাড়িটি কেটে দেবে। অবশেষে পাওয়া গেল এক নারীকে। শিশুটির নাড়িটা কেটে দিলেন তিনি। স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায়নি আশ্রয় দেয়ার। পরে কয়েকজন এগিয়ে এলেন। অবশেষে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে শিশু আর মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বলেন, স্বপ্নকে লালনপালন করার জন্য রাজশাহীর এক ব্যক্তি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওপেন পাবলিক জেলের জায়গা পরিদর্শন স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জেলার উখিয়া হলদিয়াপালং পাগলির বিল গ্রামে ৩২৫ একর জমিতে নির্মিত হবে ওপেন পাবলিক জেল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। পার্শ্ববর্তী ভারত, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশে এ ধরনের একটি করে ওপেন পাবলিক জেল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ শনিবার সকালে প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শনকালে কক্সবাজার জেল সুপার বজলুর রশিদ, বেসরকারী কারা পরিদর্শক আবুল মনসুর চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, মালয়েশিয়ার সিআরপি (কমিউনিটি রিহেবিলিটেশনের প্রোগ্রাম) আদলে বাংলাদেশের একমাত্র ওপেন পাবলিক জেল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি হবে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাগলিরবিল গ্রামে।
×