ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গোড়াই-সখীপুর সড়কের বেহাল দশা ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৯ অক্টোবর ২০১৬

গোড়াই-সখীপুর সড়কের বেহাল দশা ॥ দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৮ অক্টোবর ॥ কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে গোড়াই-সখীপুর সড়ক। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত হয়ে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে সখীপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কটি টাঙ্গাইলের পাহাড়ী অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মির্জাপুর উপজেলা ছাড়াও সখীপুর, কালিহাতি, ঘাটাইল এবং মধুপুর উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলের এলাকার জনগণ এবং মালামাল পরিবহনে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় হাজারো ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ব্যাপক যানবাহন চলাচল এবং বৃষ্টির কারণে ইট, বালু, খোয়া ও বিটুমিন উঠে সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম, বাস চালক রহিম বাদশা, ট্রাক চালক আনোয়ার হোসেন জানান, গোড়াই থেকে সখীপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে যেখানে বড়জোর ৩৫-৪০ মিনিট সময় লাগার কথা, সেখানে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। তাছাড়া যে কোন সময় এই সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মির্জাপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন জানান, ভারি যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কটির এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া গোড়াই এলাকায় মিল কারখানাগুলোর পানি সড়কে জমে থাকায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। মির্জাগঞ্জে নিম্নমানের খোয়া নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট থেকে বেতাগী পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী বিশেষ করে নম্বরবিহীন ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সড়কের আশপাশের লোকজনসহ পথচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জের পায়রাকুঞ্জ-বেতাগী সড়কের ব্র্যাক অফিস পর্যন্ত মোট ৬ কি.মি. ১৩৫ মিটার ১২ ফুট চওড়া রাস্তার দুই পাশে ৩ ফুট করে আরও ৬ ফুট রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এ জন্য তিন কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ নামে ঠিকাদার এনায়েত হোসেন কাজটি করছে। কার্যাদেশে এক নম্বর উপকরণ দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে সড়ক বর্ধিতকরণের কাজ চলছে। পথচারী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এত নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ হচ্ছে যা পায়ের চাপেই ধুলো হয়ে যাচ্ছে।
×