পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস ও খাগড়াছড়ি আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের দুই গ্রুপ পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শনিবার সকালে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে পৌর শাপলা চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ উল্লাহ, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি সাহাদত হোসেন, সম্পাদক সোহেলা রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল হক।
অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানার নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শাপলা চত্বর হয়ে আদালত সড়কের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এবং সেখানেই সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল ব্যাহত
নাব্য সঙ্কট
স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ নাব্য সঙ্কটে বেশ কিছুদিন ধরে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেরিগুলো যখন তখন আটকা পড়ছে ডুবোচরে। রো রো ফেরি চলতে পানির গভীরতা প্রয়োজন সাড়ে ৬ ফুট। এখন লৌহজং চ্যানেলে পানির গভীরতা রয়েছে ৬ ফুট। কখনওবা এর চেয়ে কমে যায়। এছাড়া চ্যানেলটি সরু। চ্যানেলটির প্রশস্ততা ১২০ ফুট। কিন্তু ড্রেজার বসানোর পর ৬০ ফুট কমে গেছে। ফেরি চলতে ৬০ ফুট প্রশস্ততা লাগে। যদি কোন কারণে একটি ফেরি আটকে যায় তাহলে সমস্যা হয়ে যায়। ফেরিগুলো মাঝে মাঝেই আটকে যাচ্ছে। এছাড়া ফেরিগুলো ক্রসিংয়ের সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
পুরো লোডও ফেরিগুলো নিতে পারছে না। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এই রুটের লৌহজং টার্নিংয়ে নাব্য সঙ্কট এবং চ্যানেল সরু হওয়ায় ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। দিনের বেলায় স্বল্প যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করলেও জোয়ারের জন্য ফেরি চলাচল অপেক্ষায় থাকতে হয়।