ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহ

শিশু পরিবারে খাবার নিয়ে নয়ছয়

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৯ অক্টোবর ২০১৬

শিশু পরিবারে খাবার নিয়ে নয়ছয়

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ শহরতলীর শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর সরকারী শিশু পরিবার (বালক) নিবাসের খাবার নিয়ে চলছে নয়ছয়। মেন্যুর খাবার পাল্টে দেয়া হচ্ছে খেয়াল খুশির খাবার। পাইজাম আতব চালের বদলে দেয়া হচ্ছে মোটা চালের ভাত। দুপুরের খাবারে মুরগির মাংসের বদলে দেয়া হচ্ছে ডিম, পাঙ্গাশ ও কোরবানির গরুর মাংস! নিম্নমান ও পরিমাণে কম দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিতে গত ৪ অক্টোবর শিশু নিবাসে গেলে কর্তব্যরত ডেপুটি সুপার জাহিদ হাসান জানান, ভেতরে সাংবাদিক ঢুকতে কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে। খাবার নিয়ে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। ময়মনসিংহের সরকারী শিশু পরিবারে (বালক) ছয় থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ১৬৭ জন। এর মধ্যে গত ৪ অক্টোবর হাজিরা খাতায় মিলেছে ১১১ জনের। ওই দিন দুপুরে এসব শিশুর জন্য বরাদ্দ ছিল ভাত, মুরগির মাংস ও ডাল। এর মধ্যে ভাতের চাল ২০০ গ্রাম, মুরগির মাংস ১১০ গ্রাম, আলু ১৮০ গ্রাম ও ডাল ১০ গ্রাম। কিন্তু ৪ অক্টোবর মেন্যুর মুরগির মাংস পাল্টে দেয়া হয় কোরবানির গরুর মাংস। সাথে ডাল আর ভাত। স্থানীয়দের অভিযোগ, রবাদ্দের কম পরিমাণ খাবার দেয়া হয় নিবাসের শিশুদের। নিবাসের শিশুরা উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনেই এই প্রতিনিধিকে জানায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুরের খাবারে দেয়া হয়েছে পাঙ্গাশ মাছ। এর আগের দিন রবিবার দুপুরের খাবারের মেন্যুতে থাকা মুরগির মাংস বদল করে দেয়া হয়েছে ডিম! রুটিনের মেন্যু অনুযায়ী শিশুরা খাবার পাচ্ছে না এবং পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছেÑ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে নিবাসের ডেপুটি সুপার জাহিদ হাসান দাবি করেন, মেন্যুর চেয়ে ইম্প্রুভড ডায়েট দেয়া হচ্ছে। নিবাসের একটি সূত্র জানায়, ঈদের পর থেকে শিশুদের কোরবানির মাংস দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মুরগির চেয়ে উন্নতমানের মাংস গরু পেয়ে খুশি শিশুরা। এসব ব্যাপারে ঠিকাদার মদিনা এন্টারপ্রাইজের ইউসুফ আলী রিপন জানান, কর্মকর্তাদের চাহিদা মতেই খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। সমাজসেবা বিভাগের ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×