ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেহাল পঞ্চগড় প্রাণিসম্পদ চিকিৎসা কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৮ অক্টোবর ২০১৬

বেহাল পঞ্চগড় প্রাণিসম্পদ  চিকিৎসা কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় থেকে জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় অবস্থিত একমাত্র প্রাণিসম্পদ চিকিৎসা কেন্দ্রটির বেহাল অবস্থা। অসুস্থ গবাদিপশুর চিকিৎসা করতে আসা লোকজনদের ভোগান্তিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। অধিকাংশ সময় চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে চিকিৎসক না থাকায় অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে লোকজনদের ফেরত যেতে হয়। এছাড়াও ভুল চিকিৎসায় অনেক গবাদিপশুর মৃত্যুর ঘটনারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গবাদিপশু মালিক ও কৃষকদের অভিযোগ, খুব অল্প সময়ের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসকের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও সবসময় তারা প্রাইভেট প্রাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকগণ প্রতিকার চেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন। সরজমিনে দেখা যায়, কাগজে কলমে ওই প্রাণিসম্পদ চিকিৎসা কেন্দ্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্প স্টাফসহ মোট ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু অফিস চলকালে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দেখা মিলেনি। অফিস চত্বরে সকাল থেকে নিজেদের পশু নিয়ে অপেক্ষা করছেন ১০ থেকে ১২ কৃষক। এদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমকাঠাল গ্রামের আব্দুল মজিদ, জেলা শহরের রওশনাবাগ এলাকার তবিবর রহমান, গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে শেখপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসে গবাদিপশুর চিকিৎসা পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু দিন শেষ হলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে না। গত সোমবার সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের আমির হোসেন তার অসুস্থ একটি গাভী নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের খোঁজ নেই। তার অসুস্থ গাভীটির অবস্থার অবনতি ঘটলে নিরুপায় হয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে মুঠোফোনে অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসকে ফোনে অভিযোগ করার পরেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ আব্দুস সোবহান তড়িঘড়ি করে অফিসে আসেন এবং অসুস্থ গাভীটিকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশনের কিছুক্ষণের মধ্যে গাভীটি মারা যায়। দরিদ্র কৃষক আমির হোসেন তার সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস গাভীটি মারা যাওয়ায় চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনেই হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
×