ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে জনবল সঙ্কট ॥ চরম অচলাবস্থা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৮ অক্টোবর ২০১৬

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে জনবল সঙ্কট ॥ চরম  অচলাবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ জেলার একমাত্র সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ লাখ লোকের জেলার প্রধান এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ‘আধুনিক হাসপাতাল’ ‘নারীবান্ধব’ শিশুবান্ধব’ ‘যুবাবান্ধব’ সব উপাধি থাকলেও নেই চিকিৎসক। এখানে শিশু, অর্থোপেডিক, মেডিসিন, সার্জারি, এ্যানেস্থেশিয়া, রেডিওলজি, ইউনানি, ডেন্টাল, প্যাথলজি ও চক্ষুর কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা আক্ষরিক অর্থেই ভেঙ্গে পড়েছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসক শূন্যতায় ক্রমশ অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ও চরম দুর্ভোগ বাড়ছে। এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও সেবা দেয়ার চিকিৎসকদের অভাবে সেখানে রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক সময় রোগীদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে ক্লিনিক অথবা অন্য জেলার হাসপাতালে। অসহায়, দরিদ্র রোগীদের ভোগান্তি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। গাইনী বিশেষজ্ঞ থাকলেও তাকে রাতে পাওয়া যায় না। জেলার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্রের এ দুরাবস্থায় এখানে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। জানা গেছে, সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের ২৯ পদের মধ্যে ১৯ শূন্য। কনসালট্যান্টের ১২ পদের মধ্যে ৯টিই শূন্য। এখানে চতুর্থ শ্রেণীর ৬৫ পদের মধ্যে ৪৪ শূন্য। অন্য পদগুলোরও একই অবস্থা। এখানকার চিকিৎসক সঙ্কটের কথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এমনকি জাতীয় সংসদে একাধিকবার উত্থাপিত হলেও আজও কোন প্রতিকার মেলেনি। সম্প্রতি এ দুরাবস্থা আরও বেড়েছে। হাসপাতালটি এখন আর রোগী ধারণের অবস্থায় নেই। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন অরুণ কুমার ম-ল বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময়ে এসব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তার পরও অন্য উপজেলা থেকে মেডিক্যাল অফিসারদের এনে রোগীদের সেবার চেষ্টা চলছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি জানান, এ হাসপাতালে ডাক্তার শূন্যতার বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় সংসদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
×