ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেল ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৮ অক্টোবর ২০১৬

মেট্রোরেল ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন

বিডি নিউজ, নয়াদিল্লী ॥ ঢাকাবাসীর জন্য মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু করলেই হবে না, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এ গণপরিবহন সেবা ব্যবহারের নিয়মও শহরের মানুষকে শেখাতে হবে বলে মনে করেন দিল্লী মেট্রোরেল কর্পোরেশনের (ডিএমআরসি) কর্মকর্তা নিখিল আনন্দ গিরি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের দিল্লী মেট্রোরেল নির্মাণ ও এর পরবর্তী অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এমন পরামর্শ এসেছে ডিএমআরসির কর্পোরেট কমিউনিকেশনসের সহকারী ব্যবস্থাপক নিখিলের কাছ থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের কঠিন কাজ শেষে মেট্রোরেল ব্যবহারের নিয়মকানুন শেখাতেও ডিএমআরসিকে নানান পদক্ষেপ নিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্গম এলাকায় পথনাটকের মাধ্যমে আমাদের গ্রামবাসীকে বোঝাতে হয়েছে এবং কিভাবে মেট্রো ব্যবহার করতে হবে ও এই সেবা নেয়ার সময় আচরণ কেমন হবে সেটা নতুন প্রজন্মকে শেখাতে অনেক স্কুলে পাপেট শো করেছি।’ বাংলাদেশ সরকার এ বছর রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। জাইকার সহায়তায় নির্মিত এ মেট্রোরেল ২০১৯ সালে চালুর আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে দিল্লীতে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চার বছর পর ২০০২ সালের ডিসেম্বরে এটি জনগণের জন্য খুলে দেয়া হয়। দিল্লীর মেট্রো সার্ভিসকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মেট্রো নেটওয়ার্ক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। নিখিল বলেন, ‘অনেকের জন্যই এটি নতুন; তারা এই আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানত না।’ মেট্রোরেল দিল্লীর সমাজ ও পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে; রাজধানীবাসীকে দিয়েছে দারুণ সব সুবিধা। মেট্রোর কারণে দিনে অন্তত চার লাখ গাড়ি রাস্তায় নামছে না বলে দাবি ডিএমআরসির কর্মকর্তাদের। বছরে জ্বালানির ব্যবহার কমেছে অন্তত ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৮ টন; যার কারণে এক সময় দূষণের শহর হিসেবে খ্যাত দিল্লীতে বায়ুদূষণের হারও নেমে এসেছে অনেকাংশে। শহরে যানবাহনের সংখ্যা কমায় দুর্ঘটনার হারও নেমে এসেছে বলে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোর কারণে ২০১৪ সালে শহরটিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল মাত্র ১২৫টি। এখন নানান সুবিধার দেখা মিললেও প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় আনাটাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে জানালেন নিখিল।
×