স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজা শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল মুখরিত। সবার হাতে রং-তুলি আর স্কেচবোর্ড। ১৮ অক্টোবর শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় কে কি ছবি আঁকবে এই নিয়ে একে অপরের সঙ্গে চলে কথপোকথন। এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, রাসেল হত্যার কী কোন ছবি আছে? যদি কারো সংগ্রহে থাকে তবে সবার সামনে তুলে ধরুন দেখি মানুষের বিবেককে কিভাবে স্পর্শ করে। বিশ্বের ও বাংলাদেশর মানুষ এই দৃশ্যের কী বর্ণনা দেয়। তিনি বলেন, আজ আমরা সারা বিশ্বে দেখতে পাচ্ছি, বিনা অপরাধে কেউ অভিবাসী হয়েছে, কেউ স্মরণার্থী হয়েছে, কেউ হামলায় কিংবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে। কেন কী কারণে, তা আজ আর জানতে কারও বাকি নেই। সাম্প্রতিক বিশ্বের অস্থিরতা ও তার ফলাফলের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, সমুদ্র তীরে পড়ে থাকা নিথর শিশু আয়লানের ছবি সারা বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে। বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমরা জানি জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল এই ছবি দেখে বলেছিলেন, অভিবাসীদের জায়গা দিতে প্রয়োজনে আমি আমার বাড়ি ছেড়ে দেব। এদের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। একই সঙ্গে আমরা জানি, ছবি দেখেছি, সিরিয়ায় অবুঝ শিশুকে কিভাবে প্রহার করা হয়েছে। তার সমস্ত শরীর, কপাল বেয়ে রক্ত ঝরছে, যে শিশু জানে না তার কী দোষ ছিল। আমার ধারণা রাসেলের বয়সেও এমনই ছিল। রক্তঝরা অবুঝ রাসেলের সেই ছবি তুলে ধরতে পারলে আজকের দিনের শিশু-কিশোরদের কোন মানসিকতায় গড়ে তুলবে তার ইঙ্গিত পাবে বলে মনে করেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর।চিত্র প্রতিযোগিতায় পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন।
