ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘আইএসের হয়ে ইরাকে লড়তাম, ১শ’ ডলার পেতাম মাসে’

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০১৬

‘আইএসের হয়ে ইরাকে  লড়তাম, ১শ’ ডলার  পেতাম মাসে’

ইরাকী রণক্ষেত্র বাইজিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীদের সঙ্গে একত্রে লড়াই করেছে তামিলনাড়ুর যে যুবক সে আইএসের বিভিন্ন পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ মডিউল, ধর্মীয় কোর্স, অর্থায়ন ও রণাঙ্গনে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনে সহযোগিতা করতে পারে ভারতীয় সংস্থাগুলোকে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, গত দু’বছরে আইএসের ৬০ রিক্রুটের মধ্যে যুবাহানি হাজা মইদীনের গ্রেফতার ঘটনা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। কর্মকর্তারা বলেন, মইদীন এ জঙ্গী সংগঠনের বিভিন্ন হামলা অভিযানের গোপন তথ্য সম্পর্কে অবহিত। মুম্বাইয়ের কল্যাণের অন্য এক যবুক ২৩ বছর বয়স্ক আরির মজিদকে তুরস্ক হয়ে আইএস অঞ্চল থেকে ফেরার পর ২০১৪ সালের নবেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। মজিদকে কখনও যুদ্ধাক্ষেত্রে যেতে দেয়া হয়নি। পরিবর্তে তাকে দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করতে এবং রণক্ষেত্রে যেগুলোর জন্য পানির ব্যবস্থা করতে হতো। ভারতীয় আইএস রিক্রুটদের মধ্যে যারা দেশে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে কেবল মইদীন ও মজিদের নামই জানা গেছে। মইদীন কেরলের ইদুক্কির বাসিন্দা। তাকে কয়েকদিন আগে কেরল ও তামিলনাড়ুতে এক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনলফুল এ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) এ্যাকটের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। অনলাইনে ২০১৪ সালের শেষের দিকে ও ২০১৫ সালে প্রথম দিকে উগ্রপন্থী হওয়ার পর মইদীন বলেছে, সে ২০১৫ সালের এপ্রিলে আইএসের পক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে বাড়ি ত্যাগ করে। সে বলে, আমি আমার মা-বাবা ও স্ত্রীকে বলেছি, আমি ওমরাহ পালনের জন্য যাচ্ছি। আমাকে যারা নিয়ে যাচ্ছে তাদের সাহায্যে ভ্রমণ ভিসায় চেন্নাই থেকে বিমানে ইস্তান্বুল যাই এবং সেখান থেকে ইরাক যাই। সূত্র জানায়, ইস্তান্বুল পৌঁছার পর অন্য বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের সঙ্গে সে ইরাকে প্রবেশ করে। অন্য বিদেশীদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানী ও আফগান ছিল। ইরাক ও সিরিয়ায় পাঁচ মাস অবস্থানকালে মইদীন সিরিয়া ও মসুলে তিন মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মইদীন তদন্তকারীদের বলে, আমি ৩০-৩৫ রিক্রুটের এক ব্যাচে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, যে ব্যাচে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের রিক্রুটরা ছিল এবং আমার প্রশিক্ষক ছিলেন একজন আফগান। প্রশিক্ষণ খুব কঠিন ছিল। ক্ষুদ্র একটি কক্ষে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে হতো আমাদের। সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর আইএস তাকে প্রথম এক স্টেইজিং পোস্টে পাঠায়। তারপর ইরাকে বাইজিতে প্রধান রণাঙ্গনে তাকে পাঠানো হয়। মইদীন বলেছে, তাকে বাসস্থান, খাদ্যের জন্য প্রতি মাসে ১শ’ মার্কিন ডলার দেয়া হতো। মইদীন জানায়, আমি সেপ্টেম্বরে ইস্তান্বুল পৌঁছাই এবং ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করি। আমি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মুম্বাই হয়ে ভারতে পৌঁছাই। Ñটাইমস অব ইন্ডিয়া
×