যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা গবেষণা নিয়ে করা চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা সবচেয়ে খারাপের দিকে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হলো। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় চুক্তিটি স্থগিত করে রাশিয়া। সরকারী ওয়েবসাইটে বুধবার রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়। খবর সিবিএস নিউজের।
গত সোমবার শত্রুতামূলক আচরণের অভিযোগে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র বানানোর উপযোগী প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের চুক্তি বাতিল করার পর পরমাণু খাতে সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করল মস্কো। চুক্তিটিকে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়। ইউক্রেন নিয়ে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ও রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের সহায়তায় সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে সিরিয়ান বাহিনী হামলা জোরদার করায় সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা কার্যকর হবে। পরমাণু জ্বালানি শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়ে দুই দেশ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চুক্তিটি করেছিল। চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে রুশ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ছিল সময়ের দাবি। সে প্রেক্ষিতে জ্বালানি খাতে রুশ-মার্কিন সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করা হলো। রাশিয়ার এ ঘোষণায় দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, যদিও এ বিষয়ে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে কোন নোটিস পাননি তবে গণমাধ্যমের খবরে তারা রাশিয়ার ঘোষণাটি দেখেছেন। তিনি বলেন, যদি এ খবর সঠিক হয় তাহলে আমরা বলব যে, রাশিয়া একতরফাভাবে এমন কিছু স্থগিত করল যা ছিল দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।