ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাসকিনের ফেরার নেপথ্যে...

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৭ অক্টোবর ২০১৬

তাসকিনের ফেরার নেপথ্যে...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বোলিং এ্যাকশনে ত্রুটি থাকায় এ বছর মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপের সময় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের তরুণ উদীয়মান এ পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন গত মাসেই। ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ক্রিকেট সেন্টারে বোলিং এ্যাকশনের পুনঃপরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর আইসিসি তাকে বৈধ ঘোষণা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর খেলেছেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুর্দান্ত এ ফেরার পেছনে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে এ তরুণকে। এ্যাকশন শুধরাতে বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন অবিশ্রান্ত। তার এই প্রচেষ্টার পেছনে কাজ করেছেন মাহবুব আল জাকি। তার তত্ত্বাবধানেই নিবিড় অনুশীলন করে নিজেকে পুরোপুরি শুধরে নিতে পেরেছেন তাসকিন এবং সে কারণে আবার তাসকিনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে দেখে দারুণ খুশি জাকি। সাময়িক নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর ছিলেন না জাতীয় দলের কোন বোলিং কোচ। জিম্বাবুইয়ের সাবেক পেসার হিথ স্ট্রিক দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ শেষেই। এ কারণে যা করার নিজে থেকেই করতে হয়েছে তাসকিনকে। ত্রুটিগুলো শোধরানোর জন্য সার্বিক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে ৫০ বছর বয়সী জাকিকে। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত তাকে নিয়ে নিয়মিত কাজ করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যখন আফগানদের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতেই বোলিং করেছেন তখন দারুণ আনন্দিত হয়েছেন জাকি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে নিয়ে সত্যিই গর্বিত। আমি এমন একজনকে সাহায্য করেছি যে কিনা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ফেরার ক্ষেত্রে বড় হুমকির মধ্যে ছিল। সে অনেক দ্রুতগতিতে বাউন্সার ও ইয়র্কার দিত। আমি আফগানিস্তান সিরিজে কোন স্পিডগান দেখিনি কিন্তু পরে তাসকিন আমাকে বলেছে সে অনুভব করছিল যে পুরনো গতিতেই বোলিং করতে পেরেছে। আমি ড্রেসিং রুমে তার জন্য ৯ ফুট লম্বা এবং তার বাড়িতে ৬ ফুট বাই ৪ ফুট আয়না রেখেছিলাম যেন নিজেই নিজের বোলিং এ্যাকশনটা দেখতে পারে।’ প্রথম ওয়ানডেতেই ৪ উইকেট শিকার করে দলকে অবিশ্বাস্য একটা জয় পাইয়ে দেন তাসকিন। পরের দুই ম্যাচে নেন তিন উইকেট। ৫০ বছর বয়সী জাকি নিজেও একজন ফাস্ট বোলার ছিলেন এবং বিসিবি তাকে স্পেশালিস্ট বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এখন জাকি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তাসকিন স্পেশাল একজন বোলার এবং তাকে অবশ্যই ভিন্নভাবে বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়ে জাকি বলেন, ‘আমি যদি তাকে সাধারণ কোন বোলারের মতো করে ভাবতাম সেক্ষেত্রে হয়তো অনেক বায়োমেকানিক্যাল পরিবর্তন আনতাম এ্যাকশনে। গতি এবং বাউন্স ছাড়া তাসকিন কখনই স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের কোন বোলার না। তাই আমি চেয়েছি তার গতিটা রেখেই এ্যাকশন শুধরানোর।’
×