ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাশকতামূলক বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ অক্টোবর ২০১৬

নাশকতামূলক বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বেনাপোল বন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাফায়েত হোসেন অগ্নিকা-ের সঠিক কারণ না জানালেও শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়নি এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে সিগারেটের আগুন বা নাশকতার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। বন্দরের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাকে তিনি দায়ী করে বলেন, কেমিক্যাল শেড থাকার পরও কেন এ শেডে তুলার সঙ্গে কেমিক্যাল রাখা হলো সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও তদন্ত করতে হবে। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট যাত্রী টার্মিনালের বন্দরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, তদন্তে এ পর্যন্ত ১৩৭টি পণ্য চালান আগুনে পুড়ে গেছে। তাতে বাংলাদেশী টাকায় পরিমাণ হচ্ছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৬ টাকা। এছাড়া আরও কোন পণ্য ছিল কিনা তা পাওয়া গেলে এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, কেপিআই জোনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করার ব্যাপারে তাদের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হবে। বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছুটা অব্যবস্থাপনা রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বীমা কোম্পানি দেখবে বলে তিনি জানান। এছাড়া বন্দরের গেটের সংখ্যা কমানো ও পিছনের সড়কটি চার লেনে রূপান্তরিত করার ব্যাপারে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সুপারিশ করা হবে। এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব হাবিবুর রহমান, যশোর জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম, ফায়ার সার্ভিস যশোরের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কু-ু ও ফায়ার সাভির্সের তদন্ত কমিটির প্রধান রাজশাহী অঞ্চলের উপ পরিচালক নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অগ্নিকা-ের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত চার সদস্যের তদন্ত টিম বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৩নং শেডের ট্রাফিক পরিদর্শক, আনসার সিকিউরিটির ৪জন সদস্য, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান, বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ অঞ্জন কুমার, ইলেকট্রিশিয়ান খোরশেদ আলম, বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ মিল্কি, উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, বন্দর লেবার ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, বন্দর কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, আমদানিকারক প্রতিনিধি, কাস্টম প্রতিনিধি এবং সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত শেড পরিদর্শন শেষে এ শেডের পণ্য চালানের কাগজপত্র দেখেন। এ সময় তদন্ত টিমের প্রধানের সঙ্গে অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ১৭ সদস্য পুড়ে যাওয়া শেডে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানালেন বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কাওছার আলী। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ টিম এখানে কাজ করবে বলে জানালেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কু-ু।
×