(পূর্ব প্রকাশের পর)
নির্দেশক : (মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে, ছেলেকে) হুঁ। (একটু ভেবে) এখনকার মতো মেনে নিলাম। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্যে বারণ করে দিচ্ছি।
কাঞ্চু খিক খিক করে হাসতে থাকে। নির্দেশক তার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফিরে আসে নিজের আসনে। ইতোমধ্যে বাইরে থেকে খরিদ্দারটি প্যান্টের জিপার টানতে টানতে নির্দেশকের চেয়ারের কাছে দাঁড়ায়। নির্দেশক তার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়।
খরিদ্দার : টয়লেটের ফ্লাশটা ঠিক নেই বুঝলেন। (সে তার আসনে ফিরে যায়।)
নির্দেশক বিরক্ত মনে তার আসনে বসে।
ছেলে : (মেয়েকে, নিচু স্বরে) গানের কথা বলতে হবে।
মেয়ে : হ্যাঁ, মনে আছে তো।
ছেলে : (বেশ কিছুক্ষণ মেয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে) অনেক দিন পরে তুমি এলে। কতো দিন কতো যুগ পরে। আমার কি যে ভালো লাগছে। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। এর চেয়ে যেন বোবা হয়ে যাওয়া ভালো। হৃদয় দিয়ে অনুভব করলে তুমি বুঝতে পারবে। কী আনন্দের তরঙ্গ উথাল-পাতাল করছে আমার প্রেমের নদীতে।
মেয়ে : সত্যি, অনেক দিন পরে তুমি এলে। কতো দিন কতো যুগ পরে। আমার কী যে ভালো লাগছে। বিশ্বাস করো আমি অনুভব করছি। সমস্ত হৃদয় দিয়ে অনুভব করছি। আমরা দু’জনেই বিরহের উত্তাল সমুদ্র পার হয়ে এসেছি। ভেবে দেখো তো, কতো বাধা, কতো বেদনা, কতো... কতো সাইক্লোন পার হয়ে আমরা এখানে... এই রেস্টুরেন্টের মোহন দ্বীপে আমরা কাছাকাছি, এলাম। নিবিড় হলাম।
ছেলে : কী অপূর্ব মিলন আমাদের।... এই সুদীর্ঘ বিরহের পর মিলনের পর এই শুভ লগ্নকে কি দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারি, বলো তো!
মেয়ে : তুমিই বলো।
ছেলে : না, না, তুমিই বলো।
মেয়ে : দুজনে মিলে গান।
ছেলে : গান! দুজনে মিলে! রেস্টুরেন্টে!
মেয়ে : হ্যাঁ, সাংঘাতিক হবে। খেয়াল করেছো, সিনেমায় আজ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার রেস্টুরেন্ট সঙ হয়নি। আমরা চালু করে দিই, তারপর দেখো, ওরা আইডিয়াটা লুফে নেবে।
ছেলে : উ-হুঁ, ব্যাপারটা হাস্যকর হবে।
মেয়ে : তাহলে।
নির্দেশক : (ওয়েটারকে প্রবেশ করতে দেখে) ওয়েটার প্রবেশ করে। তার হাতে দুটো খালি গ্লাস। টেবিলে রাখে। ছেলে ও মেয়ে দুজনই মুখ তুলে তাকায়।
ওয়েটার : একটু ওয়েট করুন স্যার। ফুচকার মসলা তৈরি হচ্ছে।
মেয়ে : সেই কখন অর্ডার দেয়া হয়েছে।
ওয়েটার : আপনাদের তো তাড়াহুড়ো নেই যে...
ছেলে : ইডিয়ট।
নির্দেশক : ওয়েটার একগাল হেসে ফিরে যায়। ডায়ালগ। মিউজিকÑ রোমান্টিক। মিউিজিশিয়ান রোমান্টিক সুর বাজাতে শুরু করে।
ছেলে : বিশ্বাস করো, তুমি কাছে এলেই আমার কবি হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। তোমার চোখ দুটোকে মনে হয় মুক্তাঝুরি। তুমি যে আমার লাস্যময়ী চতুরা কামিনী। তোমারি উৎসর্গে আমি নিবেদিত প্রাণ। তুমি স্বচ্ছ রাতের কোজাগরী। (ঝুলন্ত সাদা ডোমের দিকে তাকিয়ে) দেখো দেখো, সত্যিই পূর্ণিমা নেমে এসেছে আমার পৃথিবীতে। (কিন্তু ডোমটি নামিয়ে দেয়া হয়নি। নির্দেশক তাড়াতড়ি উঠে দাঁড়িয়ে অদৃশ্য মঞ্চকর্র্মীকে ইশারা করে ডোমটি নামিয়ে দিতে।) আমার নেপথ্য মঞ্চকর্মী ডোমটি নামিয়ে দেয়।
জীবন সমুদ্র উত্তাল হয়ে ঝড় তুলছে আমারি ভেতরে। (বলতে বলতে ঝুলন্ত সাদা ডোমের দিকে এগিয়ে যায়।) আমি ওই চাঁদকে দু’হাতের মুঠোয় সারা জনম ধরে রাখবো (ডোমটিকে দু’হাতের মুঠোয় ধরে) এই চাঁদকে স্পর্শ করে আমি তোমারি পরশ পাবো, ধন্য হবো।
(একটু নিচু স্বরে, কিন্তু নির্দেশককে শুনিয়ে) ওই বেরসিক নির্দেশক তোমাকে ছুঁতে না দিলে সে বয়েই গেলো।
নির্দেশক : (রেগে উঠে দাঁড়ায়। ছেলের দিকে এগিয়ে আসে।) কি বললে? আমাকে অপমান। নায়ক তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করছো। ভালো হবে না কিন্তু। আমি হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি।
কাঞ্চু : আগেও তো কয়েকবার দিয়েছিস।
ছেলে : তা দিন কিন্তু ভেবে দেখুন, নাটক কেমন জমে উঠেছে। এতে বরং আপনার সুনামই বাড়ছে।
নির্দেশক : আমার সুনাম নিয়ে তোমাকে মাথা ঘামাতে হবে না।
ছেলে : তাহলে...
নির্দেশক : মিউজিক স্টপ। (নিজের আসনে ফিরে এসে বসার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পায় ওয়েটার পানি নিয়ে এগিয়ে আসছে।) ওয়েটার একজগ পানি নিয়ে প্রবেশ করে। টেবিলে রাখে। ছেলে তার দু’হাতের ভেতরে চাঁদকে বন্দী করে ভাবনা মগ্ন হয়ে যায়। (ওয়েটার হেসে ফেলে) তুমি হাসলে যে।
ওয়েটার : ইমপো ভাই স্যার।
নির্দেশক : (প্রায় লাফিয়ে উঠে জোরে ধমক দিয়ে) হোয়াট। (তার চিৎকারে মেয়ে চমকে দাঁড়িয়ে যায়। ওয়েটার দ্রুত চলে যেতে থাকে।) ওয়েটার দ্রুত প্রস্থান করে। মেয়েটি উঠে দাঁড়ায় মুগ্ধ চোখে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকে। (নির্দেশক বসে)
মেয়ে : (বলতে বলতে ছেলের কাছে এগিয়ে আসে) আমি মুগ্ধ। আমি ধন্য। ওই চাঁদকে তুমি ছেড়ে দাও। চাঁদ তো কথা বলে না। তুমি আমাকে শোনো। আমাকে দেখো। আমি রূপসী ওই চাঁদেরই মতো, কলঙ্ক তার যতোই থাক না, আমি তারও চেয়ে বেশি।
নির্দেশক : ছেলেটি চাঁদকে ছেড়ে দেয়। তৃপ্তির হাসি তার মুখে। ঘুরে দাঁড়ায়।
মেয়ে : এর আগেও তো কতোজন কতো সুন্দর কথা বলেছে। কিন্তু তোমার মতো এমন কাব্য করে কেউ বলতে পারেনি।
ছেলে : আমিও এমন করে আরো কতজনকে বলেছি, কিন্তু তোমার মতো এত গদগদ হয়ে আর কেউ মুগ্ধ হয়নি।
মেয়ে : (ছেলের কাছ ঘেঁষে দাঁড়ায়) আমি সত্যিই ধন্য।
নির্দেশক : ছেলেটি মেয়েটির কাছ ঘেঁষে দাঁড়ায়।
ছেলে : আমিও ধন্য। আমরা দুজনেই। দুজনেই আমরা জহুরী, দুজনেই রতœ। (বলতে বলতে মেয়েটির কাঁধে হাত রাখে।)
নির্দেশক : (উঠে দাঁড়ায়) নো, ইমপসিবল। হাত নামাও। (তাদের কাছে যায়)
ছেলে : কেন?
মেয়ে : কেন?
নির্দেশক : নাটকের পবিত্রতা। আমার নির্দেশ।
ছেলে : সিনেমায় তো এর অনেক বেশি ঢলাঢলি হয়ে থাকে।
মেয়ে : আমরা তো এখনো ঘনিষ্ঠই হয়নি।
নির্দেশক : ওসব বুঝি না। (ছেলের হাত নামিয়ে দেয়)
ছেলে : (আবার তুলে, আরো একটু ঘনিষ্ঠ হয়ে) এর চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ আমরা হয়ে থাকি।
মেয়ে : হ্যাঁ, তাইতো।
ছেলে : গত স্যাটারডে নাইট পার্টিতে আমরা কতো বেশি আবেগার্ত শরীর কাঁপানো ঘনিষ্ঠতায়...
মেয়ে : সেদিন তুমি অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে ছিলে।
ছেলে : আর তুমি ছিলে আমার বন্ধুর সঙ্গে।
নির্দেশক : অসহ্য! হরিবল। এসব কিছুতেই... (ছেলের হাত টান দিয়ে নামিয়ে দেয়) সরে এসো।
ছেলে : (শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে) গায়ে হাত দেবেন না। আপনিই তো বলছেন, নাটকের চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতে।
নির্দেশক : বলছি। কিন্তু তার মানে কি...
ছেলে : আপনার নির্দেশ আমরা ঠিক ঠিক পালন করছি।
মেয়ে : (বেশ জোর দিয়ে) আমাদের চরিত্রই আমরা করে যাচ্ছি।
ছেলে : শুনুন। আপনার নির্দেশ আর পরিকল্পনা অনুসারে যা ন্যাচারাল আমরা তাই করে যাচ্ছি। আপনি চুপ করে দেখে যান।
কাঞ্চু : চুপ করে থাকার বান্দা ও নয়। মাঝে মাঝে লাফিয়ে উঠে হুকুম আর হুমকি দেওয়াটা ওর অভ্যেস।
মেয়ে : হাজার হলেও উনি ডিরেক্টর।
ছেলে : ঠিক আছে। আপনি দেখে যান শুধু। দরকার মতো হুকুম আর হুমকি দুটোই দিতে থাকবেন।
মেয়ে : তাতে আপনারই সুনাম বাড়বে। রচনা ও নির্দেশনাÑ আবু (থেমে যায়) ...আপনার পুরো নামটা যেন কি?
ছেলে : আমাদের আর কি বলুন। যতোই ভালো করি সমালোচকরা কলমটাকে ভোজালি বানিয়েই রেখেছে।
মেয়ে : কিন্তু সব প্রশংসা হবে আপনার।
নির্দেশক : ঢের হয়েছে। থামো।
ছেলে : বলুন।
নির্দেশক : আমার নাটকের মূল বক্তব্য...
ছেলে : কোনো চিন্তা করবেন না, ঠিক থাকবে।
মেয়ে : আমরা সফল করেই ছাড়বো।
ছেলে : এ সবই তো আপনার। আপনারই জন্যে। আমরাও আপনার অধীন। তবে কিনা...
মেয়ে : আমাদের দিকটাও দেখতে হয়।
নির্দেশক রাগত ভাবে তার আসনে ফিরে যায়। ছেলে ও মেয়ে যেয়ে বসে তাদের আসনে। ক্ষণিক নীরবতা। হঠাৎ ছেলে উঠে পড়ে ও এগিয়ে আসে সম্মুখ মঞ্চের মধ্যখানে।
ছেলে : (এগিয়ে যেতে যেতে, মেয়েকে) এসো তো।
মেয়ে : কোথায়?
ছেলে : এই তো, এখানেই।
(মেয়ে এগিয়ে আসে। দু’জনেই মধ্য মঞ্চে। ছেলে মেয়ের মুখোমুখি দাঁড়ায়। একবার ঘাড় ঘুরিয়ে নির্দেশকের প্রতিক্রিযা দেখে নেয়। এটা হচ্ছে ফ্লোর। মিউজিশিয়ান। (মিউজিশিয়ান কিছু না বুঝে উঠে দাঁড়ায়) মিউজিক দাও, নাচের মিউজিক।
মিউজিশিয়ান : নাচের মিউজিক!
ছেলে : একটা কিছু ধুপধাপ বাজালেই চলবে। নাও, বাজাও।
মিউজিশিয়ান নির্দেশকের আদেশের জন্যে একবার তাকায়।
ছেলে : কি বলো।
মেয়ে : ইয়া। ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর।
মিউজিশিয়ান মিউজিক শুরু করে। ছেলে ও মেয়ে নাচতে শুরু করে। কাঞ্চু হাততালি দেয়।
নির্দেশক : (সামান্যক্ষণ নাচ চলতেই লাফ দিয়ে উঠে এসে ছেলের ঘাড় চেপে ধরে) কি, পেয়েছো কি?
মিউজিশিয়ান মিউজিক থামিয়ে দেয়।
ছেলে : (থেমে যায়) দিলেন তো সিকোয়েন্সটা গুবলেট করে।
মেয়ে : (তখনো নেচে চলেছে) আমি কিন্তু মুড-এ এসে গিয়েছিলাম।
নির্দেশক : নিকুচি করি তোমার মুডের। (ঘার ছেড়ে দিয়ে, ছেলেকে) কি, কথা বলছো না কেন? কি, পেয়েছো কি এখানে? মেয়ে ততোক্ষণে নাচ থামিয়ে দেয়।
ছেলে : বারে এতো নাটকের মধ্যে। কেন আপনি জানেন না, আজকালকার নাটকে নাচগান, অভিনয়, সবকিছু থাকতে হয়। একেবারে আদি যুগে নাকি এরকমই ছিলো।
মেয়ে : নাচ জিনিসটাতো খারাপ নয়। পার্টিতে আমরা কতোরকম নাচানাচি করে থাকি।
নির্দেশক : (আঙুল তুলে ধমক দিয়ে) থামো। এটা তোমাদের নাচের পার্টি নয়।
ছেলে : শুনুন। আপনি ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করুন।
নির্দেশক : কী? তুমি আমাকে বোঝাতে চাও?
ছেলে : না, বলছিলাম যে, আপনার নাটকে পার্টির কথা আছে। নাচের কথা আছে। তা কথা যখন আছে, তখন করে দেখাতে দোষ কোথায়? বলুন।
কাঞ্চু : আবু, আইডিয়াটা খারাপ নয় রে।
নির্দেশক : তুই যেটা বুঝিস না, সেটা নিয়ে...
কাঞ্চু : (হেসে) বলে কি। আমি নাকি ব্যবসা বুঝি না। আরে বাবা, তোরই তো প্ল্যানে আছে ভবিষ্যতে এখানে নাচানাচির ব্যবস্থা করবি।
ছেলে : (উৎসাহে) তাহলে তো হয়েই গেলো। আমরা উদ্বোধন করে দিলাম।
মেয়ে : না, না। ওটা আমরা করবো না। ওটা উনার জন্যেই থাক।
নির্দেশক : হুঁ, বুঝতে পেরেছি।
নির্দেশক যেন গভীর ভাবনায় মগ্ন হয়ে পায়চারী করতে করতে এগিয়ে যায় কাঞ্চুর টেবিলের দিকে। কাঞ্চুর মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। ছেলে ও মেয়ে পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে। নির্দেশক ফিরে এসে তাদের নিরীক্ষণ করে। তার মনোভাব ঠিক বোঝা যায় না। ফিরে যায় নিজের চেয়ারে। বসেই লাফিয়ে উঠে।
নির্দেশক : এখন ইন্টারমিশন।
ছেলে : ইন্টারমিশন
মেয়ে : ইন্টারমিশন
ছেলে : এমন একটা টেন্স মোমেন্ট তৈরি করে আপনি...
নির্দেশক : আই সে ইন্টারমিশন। লাইটস অফ।
অভিনয় প্লাটফর্মের সাধারণ আলো নিভে যায়। ছেলে ও মেয়ে হতাশভাব নিয়ে বেরিয়ে যায়। ওয়েটার এসে কাউন্টার টেবিলের একপাশে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে।
নির্দেশক : কাঞ্চু, মিউজিশিয়ান তোমরা বেরিয়ে যাও।
মিউজিশিয়ান বেরিয়ে যাবার সময় গীটারে টোকা দিতে থাকে। আর আসনের আলো নিভে যায়।
নির্দেশক : স্টপ। (মিউজিশিয়ান প্রায় চমকে যেয়ে বাজনা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে) যাও।
মিউজিশিয়ান চলে যায়। নির্দেশক মধ্য মঞ্চে চলে আসে।
কাঞ্চু : (নির্দেশকের কাছে এগিয়ে আসে) কেইসটা কি।
নির্দেশক : তোকে বুঝতে হবে না। যা এখন।
কাঞ্চু দাঁড়িয়ে পড়ে। তার দিকে এক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে যায়।
নির্দেশক : ওয়েটার, এদিকে এসো।
কাউন্টার টেবিলের আলো নিভে যায়।
ওয়েটার : (কাছে এসো) জ্বী, স্যার।
নির্দেশক : গোয়েন্দাগিরি বোঝো? (ওয়েটার হা করে তাকিয়ে থাকে)
শোনো, ওরা আমার বিরুদ্ধে কি বলে, কি করে, এসব তুমি গোপনে জেনে নেবে। ওদের ওপর নজর রাখবে। তারপর তুমি আমাকে জানাবে, বুঝলে।
ওয়েটার : (জ্বী স্যার) কিন্তু কেন স্যার।
নির্দেশক : কোন প্রশ্ন নয়। যা বললাম তাই করবে।
নির্দেশক দ্রুত প্রস্থান করে। নির্দেশকের আসনের আলো নিভে যায়। ওয়েটার চলে যেতে উদ্যত হয়। কাঞ্চু প্রবেশ করে।
কাঞ্চু : কিরে, তুই পারবি? (চলবে)