ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গোলাম কিবরিয়া পিনু

নীলিমা ইব্রাহিমের কেয়াবন সঞ্চারিণী সংগ্রাম ও নৈতিক দ্বন্দ্বের মহিমা

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ৭ অক্টোবর ২০১৬

নীলিমা ইব্রাহিমের কেয়াবন সঞ্চারিণী সংগ্রাম ও নৈতিক দ্বন্দ্বের মহিমা

খুলনা জেলার বাগেরহাট মহকুমার ফকিরহাট থানার মূলঘর গ্রামে ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর, তাঁর পিত্রালয়ে, নীলিমা ইব্রাহিম-তখন নীলিমা রায় চৌধুরী-জন্মগ্রহণ করেন। নীলিমা ইব্রাহিমের পিতার নাম প্রফুল্ল কুমার রায়- চৌধুরী আর মাতা কুসুমকুমারী দেবী। তাঁর পিতা জেলা সদরের তৎকালীন স্বনামধন্য সরকারী উকিল প্রফুল্ল কুমার রায় চৌধুরী শিল্প সাহিত্যের প্রতি বিশেষভাবে অনুরাগী ছিলেন। নীলিমা ইব্রাহিমের মানস গঠনে পিতা প্রফুল্ল কুমারের প্রভাব ছিল ব্যাপক। প্রফুল্ল কুমারের রাজনীতি চেতনা, পা-িত্য ও সাহিত্য-অনুরাগ নীলিমা ইব্রাহিমের মানসলোকে অলক্ষ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। নীলিমা ইব্রাহিমের প্রথম লেখা প্রকাশ হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। ১৯৪৭ সালের দিকে, একটি আবেগঘন গল্প, নাম ছিল ‘দেবরের কাছে’। শেখার শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘কলেজ ম্যাগাজিন, এটাতে সেটাতে লেখা বের হতো। এখানে এসে প্রথম আরম্ভ হলো, আমি তখন বরিশালে, ডাক্তার সাহেব বরিশালে, সেখানে থাকা অবস্থায় অনেক সময় পেতাম, উপন্যাস লিখতে আরম্ভ করলাম। ‘বেগম’ পত্রিকায় ছাপা হলো।’ ‘বেগম’ পত্রিকায় ‘বিশ শতকের মেয়ে’ নামের উপন্যাসটি ছাপা হয়- ১৯৪০ সালের দিকে। নীলিমা ইব্রাহিম ২৫টির বেশি গ্রন্থের রচয়িতা। এর মধ্যে প্রবন্ধ- গবেষণা : শরৎ প্রতিভা (১৯৬০), বাংলার কবি মধুসূদন (১৯৬১), ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী সমাজ ও বাংলা নাটক (১৯৬৪), বাংলা নাটক উদ্ভব ও ধারা (১৯৭২), বেগম রোকেয়া (১৯৭৪), বাঙালী মানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৮৭), সাহিত্য সংস্কৃতির নানা প্রসঙ্গ (১৯৯১), সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত: অতঃপর অমানিশার অন্ধকার (১৯৯৫), আমি বীরাঙ্গনা বলছি (প্রথম খ- ১৯৯৬, দ্বিতীয় খ- ১৯৯৭), বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (১৯৯৬), গল্প : রমনা পার্কে (১৯৬৪)। উপন্যাস : বিশ শতকের মেয়ে (১৯৫৮), এক পথ দুই বাঁক (১৯৫৮), পথ-শ্রান্ত (১৯৫৯), কেয়াবন সঞ্চারিণী (১৯৬২), বহ্নি বলয় (১৯৮৫)। নাটক : দুয়ে দুয়ে চার (১৯৬৪), যে অরণ্যে আলো নেই (১৯৭৪), রোদজ্বলা বিকেল (১৯৭৪), সূর্যাস্তের পর (১৯৭৪)। অনুবাদ : এলিনর রূজভেল্ট (১৯৫৫), কথাশিল্পী জেমস ফেমিনোর কুপার (১৯৬৮), বস্টনের পথে (১৯৬৯), ভ্রমণ কাহিনী : শাহী এলাকার পথে পথে (১৯৬৩)। আত্মজীবনী : বিন্দু-বিসর্গ (১৯৯১)। এর মধ্যে তার বহুল আলোচিত গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধের বীরঙ্গনাদের নিয়ে দু’খ-ে লিখেছেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি। নীলিমা ইব্রাহিম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন- এগুলো হলো : বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), জয়বাংলা পুরস্কার (ভারত, ১৯৭৩), মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার (১৯৮৭), লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৮৯), বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী স্মৃতিপদক (১৯৯০) মুহম্মদ নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৯২), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৯৭), শের-এ বাংলা পুরস্কার (১৯৯৭), থিয়েটার সম্মাননা পদক (১৯৯৮), একুশে পদক (২০০০)। নীলিমা ইব্রাহিম ২০০২ সালের ১৮ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে ৮১ বছর বয়সে ঢাকার মহাখালীস্থ মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২১ জুন, শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে তাঁর মেয়ে ডলি ইব্রাহিমের কবরের পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। দুই নীলিমা ইব্রাহিম লিখিত ‘কেয়াবন সঞ্চারিণী’ প্রকাশিত হয় ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে, প্রকাশক ছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা, পুথিঘর লিঃ ঢাকা। মূল্য ছিল দুই টাকা পঁচিশ পয়সা মাত্র। কেয়াবন সঞ্চারিণী, উপন্যাসে মূল চরিত্র আইরিন, রিনা নামেই সে পরিচিত। তাকে ঘিরে উপন্যাসের প্রতিটি পর্ববিন্যাস। নিরা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, ঢাকার মগবাজারে তাদের বাসা। বাবা প্রয়াত স্কুল শিক্ষক, পিতার মৃত্যুর পর রিনা সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়, তখন তার বয়স মাত্র উনিশ। পিতার মৃত্যুর পর তাদের সংসারে থাকেন মা, ছোটভাই শাহেদ ও বোন ইভু। রিনা প্রথমে চাকরি নেয় এক কমার্শিয়াল ফার্মে রিসেপসনিস্টের চাকরি, তারপর নিজের যোগ্যতা বাড়িয়ে একটি বড় ফার্মের জেনারেল ম্যানেজারের পিএ হিসেবে কাজ করেন। চাকরি করে রিনা ভাইকে ডাক্তারী পড়ানোর সমস্ত খরচ বহন করেন, বোনের বিবাহ দেন। চাকরি জীবনে নানারকম কাজে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজেকে মনের বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ান। মদ স্পর্শ করে, পুরুষদের সঙ্গে চাকরির কারণে ভিন্নভাবে মেলামেশা করতে হয়। রাতে বাসায় ফেরে। এসব সবকিছু সে করে বিপর্যস্ত সংসারের অভাব-অনটন মিটিয়ে মা, ভাই-বোনের কষ্ট দূর করার জন্য। শুধুমাত্র পারিবারিক কর্তব্য পালনে একনিষ্ঠ থেকে আত্মত্যাগের সীমা ও পরিসীমা হারিয়ে ফেলেন। রিনার প্রেমিক কায়সারও দূরে সরে যান। বোনের স্বামীর খালাতো ভাই আলম সাহেব রিনাকে গ্রহণ করতে চান কিন্তু আলম সাহেবের চরিত্র অনুভব করে সে পথে আর পা বাড়াননি। রিনা তার বসের সঙ্গে খুলনায় যায়, যে বসকে সে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতো, সেও যে ধরনের আচরণ করে খুলনায় গিয়ে, তাতে রিনা আরও বেশি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মা, ভাই-বোন সবাই রিনাকে ভিন্নচোখে দেখতে থাকে অথচ এদের জন্য রিনার ভিন্নভাবে বেঁচে থাকা, সেই উপলব্ধি করাও হয় না। অবশেষে রিনা তার বস মিঃ আহমেদের করুণায় পেশোয়ারে চাকরি নিয়ে সবার অলক্ষ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। রিনা যে পরিবার ও সমাজে বাস করেছে- সেখানে শুধু অর্থের কারণে প্রতি পদে পদে মর্যাদাহীনভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে। নারী হয়ে জন্মানোর জন্য সমাজে আরও বেশি কষ্টকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ‘কেয়াবন সঞ্চারিণী’ উপন্যাসে এক নারীর কষ্টকর জীবন সংগ্রামের কাহিনী নতুন গড়ে ওঠে আর্থ-সামাজিক পটভূমিতে দেখা যায়, যেখানে নতুন মূল্যবোধ বিবেচিত হচ্ছে, ভোগবাদিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেমন এক পরিবেশে এমন অভিব্যক্তি- ‘দোহাই মা, অমন দোয়া বা অভিশাপ কোনটাই তুমি আমাকে দিও না। মা না হয়েই যেটুকু বুঝেছি তাতে আমার অভিজ্ঞতা কম হয়নি। এ নিয়ে দঃখ করো না। এ দুনিয়ায় এক একজন এক এক ধরনের তক্দীর নিয়ে জন্মায় মা, তাই সবার জীবন এক ধারায় বয় না। ইভু জন্মেছে স্বামী পুত্র নিয়ে সংসার করতে; আর তোমার রিনা এ সংসারে জন্মেছে টাকা রোজগার করে আধা রাত্রে বাড়ি ফিরতে, এর জন্য আফসোস কেন? অর্থ-অভাবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে ‘রিনা’ অনুভব করে দারিদ্র্য মানুষকে বিভিন্নভাবে বিপর্যস্ত করে, অপমানিত করে। রিনা অভাব-অনটনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নেমে ভিন্ন উপলব্ধি নিয়ে বাঁচে, সে ধরনের ভাবনা এভাবে উচ্চকিত হয়- ‘বস’ তাকে ডেকে বলেছিলেন একটা ফাইল নিয়ে শাহবাগে তাদের একজন কাস্টমার এসেছেন তাকে পৌঁছে দিতে এবং তাঁর কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সে সব খোঁজ খবর নিয়ে আসতে। ভদ্রলোককে দেখে রিনার খুব ভালো লাগলো। বয়স পঞ্চাশ-পঞ্চান্নর মতো হবে আর কি। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসেছেন। রিনার বয়সী তাঁর মেয়ে আছে। সে বিদেশে পড়ে ইত্যাদি অনেক পারিবারিক গল্প করলেন। দু’জনে একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করলো আসবার আগে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে যখন রিনা বেরিয়ে আসবে তখন হঠাৎ ভদ্রলোক তাকে জড়িয়ে ধরে এমন একটা ভঙ্গিতে আদর করলেন যে রিনা ছুটে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হলো। তার পরনে যে শাড়ি ব্লাউজ ছিল বছরখানেক সেগুলো আর স্পর্শ করেনি। কি ছেলেমানুষীই না সেদিন করেছিল সে। আর আজ? ————————- দারিদ্র্যের যন্ত্রণা যত তার চেয়ে বেশি তার অবমাননাকর জ্বালা। আজ জীবনের কোনও সম্পদের বিনিময়েই রিনা সে অভিশাপ গ্রহণ করতে রাজি নয়। না, দারিদ্র্যের সঙ্গে আপোস তার পক্ষে কোন রকমেই সম্ভব নয়। অর্থাভাবে তার বাবাকে হারিয়েছে সে; সব খোয়াতে বসেছিল এই অর্থের জন্যই। আজ যাঁরা নীতির মানদণ্ডে তার বিচার করবেন তাঁদের অনেকের নীতিবোধকেই তার জানা আছে।’ সামাজিক বাস্তবতায় নারী হয়ে জীবন সংগ্রাম এক ধরনের করুণ পরিণতি তৈরি করে, তা উপলব্ধি করে রিনা। যে পরিবেশে নারীরা বন্দী হয়ে কাতরায়, মুক্ত হওয়ার জন্য পথ খোঁজে- সে ধরনের অভিব্যক্তি রিনার উপলব্ধিজাত বাক্যে আমরা খুঁজে পাই- ‘আমি যে হিংস্র স্বাপদশঙ্কুল বনভূমিতেই থাকি। সেখানে মানুষ কোথায়? কোথায় তার স্নেহ, প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, প্রীতি ও ভক্তি? কোথায় তার সুকুমার হৃদয়বৃত্তি? সেখানে আছে শুধু বেচাকেনা আর লাভক্ষতি বিনিময়ের হিসেবে। আত্মা সেখানে মাথা খুঁড়ে মরছে দেহের পায়ের নিচে। এ অন্ধকার গিরিগুহা থেকে আমি বেরুবো কোন পথ দিয়ে?’ এই উপন্যাসে লক্ষ্য করা যায়- রিনার মতো মেয়েরা সংসারের সাধারণ দাবি মিটাতে গিয়ে অনেক কিছুর সঙ্গে আপোস করে, নিজস্ব নৈতিক-মূল্যবোধকে হত্যা করতে বাধ্য হয়, আবার অন্যদিকে ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেক ধনী ঘরের মহিলারা উৎসাহী হয়ে অন্ধকারে পা বাড়ায়, তা রিনার বক্তব্য থেকে প্রভিভাত হয়- ‘রিনা নোট দু’খানা ব্যাগে ভরে, কিন্তু কেন জানি না মাথাটা আর উঁচু করতে পারে না। প্রতিবারই সে দেখেছে এ ধরনের টাকা নিতে তার সঙ্কোচের সীমা থাকে না। মিঃ আহমেদ যাই বলুন না কেন রিনার মনে হয় এ উপার্জনটা ঠিক যেন ন্যায়নীতির পথ ধরে আসে না। এর কোথায় যেন একটা গ্লানি, একটা মালিন্যের স্পর্শ আছে। কিন্তু কেন? সে গরিব বলে তার এভাবে উপার্জন অন্যায়? অথচ সমাজের উচ্চস্তরের অধিবাসী কত সম্ভ্রান্ত মহিলা, বিবাহিতা, সন্তানের জননীকে তো সে নিজে চোখে দেখেছে হোটেলের নিচের দোকান থেকে কেনা বহু মূল্যবান অলঙ্কার হাসিমুখে গলায় তুলে নিচ্ছে প্রমত্ত প্রণয়ীর উপহার রূপে। অভিজাত মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগে টাকা গুঁজে দিতেও সে দেখেছে। অথচ এঁরা সমাজের উচ্চস্তরের অধিবাসী পতির গরবে গরবিনী। বড় বাড়িতে থাকেন, বড় গাড়ি চড়েন। তাদের পাপপূর্ণ, ন্যায়-অন্যায় বিচারের কোন লোক নেই। যত ধিক্কার এ গরিব আইরিন খানের জন্য?’ এই উপন্যাসে ‘রিনা’ জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন উপলব্ধির মুখোমুখি হয়েছেন, সেই সমস্ত উপলব্ধি বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এদেশের রাজধানীকেন্দ্রিক নতুন ধারার জীবন নির্বাহের এক বাস্তবতা, যা নারীর মূল্য নির্ণয়ে বিশেষ বিবেচনাকে টেনে আনে, এই দিক থেকে এই উপন্যাসের তাৎপর্য কম নয়। নীলিমা ইব্রাহিম অন্যান্য উপন্যাসের নারী চরিত্রের চেয়ে এই উপন্যাসের নারী-চরিত্রটিকে নির্মাণ করেছেন সংগ্রাম, উদ্দীপনা, আত্মত্যাগ ও নৈতিক দ্বন্দ্ব দিয়ে বিশেষ মহিমায়; সে কারণে এ চরিত্র বাংলা কথাসাহিত্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়। উপন্যাসের শেষে রিনার চিঠির ভাষ্যে বিংশ শতাব্দীতে নারীর সামাজিক অবস্থানের করুণ পরিণতির দিগন্তকে উন্মোচন করে, যা উপন্যাসের মূল ব্যঞ্জনাকে ধারণ করে- ‘শুনেছি আরব দেশে মেয়েদের জন্মের পর তাদের গলা টিপে মারা হ’ত। তাদের আমরা বলি বর্বর। কিন্তু তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাদের জীবনের সত্যোপলব্ধির জন্যে। বিংশ শতাব্দীর মানুষ শিক্ষিত; তাদের আধুনিক মন নারীকে গলা টিপে হত্যা করে না, কিন্তু তিলে তিলে তাকে দগ্ধ করবার শিল্পরীতিতে তারা দক্ষ।
×