খেয়ালের নদী
জলঘোলা এই নদী ঘুমঘুম শ্রান্তের চোখে
নেমে গেছে ক্ষীরোদ সাগরে-
সরল সন্তাপ বয়ে শরতের স্নিগ্ধ কিনার ভালোবেসে
স্মৃতির শ্যামল জে¦লে- শাড়ি তার আঁচলে আঁচল ছড়িয়েছি বুকের উঠানে;
তারাদের লুপ্ত আলোর নিচে সে গান করুণ
ঘুমিয়েছে বারিধারে...
ঊষার স্বকাছে নদী
নিজমতো চলে গেছে পালের ধাবনে-
একা একা, তার পিছে- কূলের গায়েন
শুনে না সে কোন স্বর
সে দেখে না ওই মুখ
খেয়ালের নদী যাবে দূর একা
একা মাঝি একা জলযান...
সৌধ
বেলেমাটি আর পোড়ামাটির ভাঁজে ভাঁজে পাললিক
স্নেহের প্রতœ-আগুন রক্ত আর অশ্রু প্রলেপে ছড়ায় পূর্বরাগ
বিধু আর পুষ্পপ্রেম সন্ধ্যার কোষে কোষে...
ইহারা বাজায় বাঁশি- নদীরা কেঁপেছে
ইহারা হালের রাহা কত কী বুনেছে
প্রাতের কাজল দীঘি নিদ্্রা শীতল
আহারে রসিক কামলি- করো না ত্বরাই
ইহার এমনই ছিলো জলের দোহাই
শ্যামা নাচে, মন নাচে সৌধ সাজায়;
সৌধ সোনার বীজ বঙ্গ-জঠরে
চাষারু পুত্র পায়- অনার্য আমারে।
ডানাপন্থি মেঘের বিলাপ
যে হাত কাঁটার বিবাদে না ছুঁয়েছে ফুল
না ঢেকেছে মৃতের কপাল
তার- কামনা কালিন বিষে
যে হাত না পড়েছে গলে নুনের তরলে
যে দিন শোনায় শৈল জলের স্তনন
তার- উঁচাবুক ছিঁড়ে-ফুড়ে
যে হাত গেয়েছে কাল বিরূপ-চেতনে
তার- সৌরখরা সন্তের গান, জ্যোৎস্নার দিন ব্যপে
সে হাত পবিত্র করো কেউ- ঘর্মাক্ত ফুলের আঁচলে।
শীর্ষ সংবাদ: