ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান

রংপুর বিভাগের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৭ অক্টোবর ২০১৬

রংপুর বিভাগের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তোলার চলমান প্রয়াসে রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের অংশীজনের সঙ্গে দিনব্যাপী রাজস্ব সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার রংপুর চেম্বার ভবনের আরসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুর বিভাগের ব্যবসায়ীরা কর ও ভ্যাট প্রদানে অত্যন্ত আগ্রহী ও আন্তরিক। রংপুর বিভাগে গ্যাস নেই, জ্বালানি নেই, অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। তাই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগে সহনীয় পর্যায়ে কর ও ভ্যাট আদায়ের ব্যাপারে প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে একটি ব্যবসা, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির অব্যাহত প্রয়াস চালাচ্ছে। আজকের এ সংলাপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের অঞ্চলের যে সমস্যা ও সম্ভাবনা যেভাবে আমাদের কাছে তুলে ধরলেন তা আগামীতে উন্নয়ন পরিকল্পনায় সন্নিবেশিত হবে এবং এর ভিত্তিতে রংপুর বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, রংপুর একটি সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল এলাকা। রংপুর বিভাগে কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত ও গতিশীল করা যায় সে ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা আগামীতে যে রাজস্বনীতি তৈরি করব অবশ্যই সেখানে রংপুর বিভাগের জন্য আলাদা কিছু থাকবে। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগ দিয়ে শুধু বিবিআইএন নয়, এ বিভাগ দিয়ে যে অতি সহজে চীনের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি করা যাবে তা রংপুর সফরে না আসলে জানতাম না। রংপুর বিভাগ থেকে চীনের স্থলবন্দরের দূরত্ব প্রায় ১৯৩ কিলোমিটার। একটি রাজস্ব ও উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও করদাতাগণ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এ রাজস্ব সংলাপে চেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কর ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে সমাধান করবেন মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। শাঁখারীবাজারে চলছে শেষ মুহূর্তের বিকিকিনি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুর্গা পূজায় উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙাতে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে চলছে শেষ মুহূর্তের বিকিকিনি। নতুন পোশাকের সঙ্গে দেবী দুর্গাকে বরণে শাঁখা, সিঁদুর, আলতা ও টিপের বিক্রি বেড়েছে। সাজানো হবে দুর্গা ও তার সন্তানদের। তাই প্রতিমার নতুন পোশাক ও মুকুটের সঙ্গে দেবীকে অঞ্জলি দিতে থালা, ঘট, প্রদীপসহ পূজার নানা সরঞ্জাম কিনতেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজাম-পসহ সর্বত্রই এখন উৎসবের আমেজ। পোশাকের কেনাকাটা অনেকটাই শেষ। এখন অপেক্ষা দেবীর আগমনের। আর দেবী দুর্গাকে বরণে নতুন শাঁখা, সিঁদুর ও আলতা কিনতে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার ভিড় করছেন হিন্দু রমণীরা। দশমীতে দেবির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে সিঁদুর খেলায় মাতবেন ভক্তরা। স্বামীর মঙ্গলের জন্য প্রথা অনুসারে সারাবছর শাঁখা পরেন হিন্দু গৃহবধূরা। তবে সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবে নতুনত্ব চায় সবাই। বিক্রেতারা জানান, সোনা বাঁধানো ও ময়ূরের কারুকার্যখচিত চিকন শাঁখা বেশি চলছে।
×