ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা সনদ দাবিতে কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ৬ অক্টোবর ২০১৬

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা সনদ দাবিতে কর্মসূচী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন কওমী শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়াহ মাহমুদ। কওমী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসার ২০ লাখ শিক্ষার্থীর হৃদয়ের কথা উপলব্ধি করে সনদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। তবে জামায়াত-শিবিরের অনুসারী ষড়যন্ত্রকারীরা কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচী ঘোষণা করে কওমী শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ নেতারা বলেছেন, আগামী ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন এবং ১৪ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানববন্ধন, গণসংযোগ ও গোলটেবিল বৈঠক হবে। এর মধ্যে দেশজুড়ে চলবে গণসংযোগ। শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামবে কওমীর শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ মুফতি মুহাম্মদ আলী, মুফতি ইবরাহীম শিলাস্তানী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব প্রমুখ। সদস্য সচিব আল্লামা ইয়াহইয়াহ মাহমুদ জামায়াত মদদপুষ্ট কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের একটি অংশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, বেফাকের ছদ্মাবরণে স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে একটি চক্র। শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি কওমী সনদের স্বীকৃতি নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি। তবে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জেগে ওঠেছেন। এবার তারা আপনাদের রাজনৈতিক খেলার হাতিয়ার হবে না। প্রয়োজনে অচিরেই বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই সব রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে বেফাককে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হবে। শীর্ষ আলেমদের তালিকা তৈরির হুমকি দিয়ে বলেন, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ। স্বীকৃতি হলে কওমী মাদ্রাসায় ভাঙ্গন দেখা দেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা ইয়াহইয়াহ মাহমুদ বলেন, না, কোন ভাঙ্গন হবে না। ধীরে ধীরে সবাই চলে আসবে। মূলত বেফাকসহ সবাই স্বীকৃতি চান। দেওবন্দের আদলে হযরত আহমদ শফীও স্বীকৃতি চেয়েছেন। স্বীকৃতি হলে সরকারী চাকরি পাবে কি না, জানতে চাইলে পরিষদ নেতা বলেন, ধর্মীয় সব সেক্টরে তারা কাজ করতে পারবেন। এসব জায়গায় এখন জামায়াতিরা ঘাঁপটি মেরে বসে আছে।
×