ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বিল পাস

সংবিধান নিয়ে অশোভন মন্তব্য করলে এনজিওর নিবন্ধন বাতিল

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ৬ অক্টোবর ২০১৬

 সংবিধান নিয়ে অশোভন মন্তব্য করলে এনজিওর নিবন্ধন বাতিল

সংসদ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান রেখে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৬’ কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। পাসকৃত বিলে কোন এনজিও বা এনজিও কর্মকর্তা সংবিধান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে অশোভন মন্তব্য করলে নিবন্ধন বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। কোন এনজিও তাদের মোট ব্যয়ের ২০ ভাগের বেশি প্রশাসনিক ব্যয় করতে পারবে না বলেও সুনির্দিষ্ট বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদকার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ সময় বিলের বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। কিন্তু তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নানের আনীত একটি সংশোধনী গ্রহণ করেন মন্ত্রী। অন্যান্য সকল সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলটির বিরোধিতাকারীদের বক্তব্যের জবাবে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ’৭৫-এর পর থেকেই ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়ার প্রবণতা এদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে। অনেক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার জনসেবার নমুনা আমরা দেখেছি। বিদেশ থেকে টাকা এনে স্যূটেট-ব্যুটেট হয়ে জনসেবার বিষয়টি নজরে রাখতে অবশ্যই একটি আইন থাকা প্রয়োজন। আমরা এখন হতদরিদ্র্য নই, নিম্নœ মধ্যম আয়ের দেশ। অনেকে হয়তো মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এনজিওর দোকান খুলেছেন, কিন্তু সেখানেও যে নষ্টকারীরা নেই তা বলা যায় না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ীই এ বিলটি আনা হয়েছে। এনজিওরা আমাদের শত্রু বা আমরা তাদের বিপক্ষে- তা বলব না। জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করে সমাজকে কলুষিত করছে। এসব জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা কোথায় থেকে অর্থ পাচ্ছে তা নজরদারির অধিকার অবশ্যই সরকারের রয়েছে। বিল উত্থাপন ॥ ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন রহিতপূর্বক কতিপয় সংশোধনীসহ নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘ক্যাডেট কলেজ আইন-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
×