ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শত কোটি টাকার গম আত্মসাত মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৬ অক্টোবর ২০১৬

শত কোটি টাকার গম আত্মসাত মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমদানি করা প্রায় শতকোটি টাকার গম আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ব্যবসায়ীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধনাঢ্য এ ব্যবসায়ীর নাম সাইফুল ইসলাম। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন এ ব্যবসায়ী। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ঢাকার পুরানা পল্টনের রোকেয়া অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন খুলনার মেসার্স হাজী আশরাফ আলী এন্ড সন্স নামের এক সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার শেখ আজিজুল হক। মামলায় ৩৩ হাজার মেট্রিক টন সরকারী গম আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় আরও চারজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- জেকে শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, গুদাম মালিক চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদার বাড়ির আবদুল মালেক ও ঢাকার বনানীর মেসার্স স্টীল ফেয়ার গার্মেন্টসের আখতারুজ্জামান খান মামুন। ৫ আসামীর মধ্যে শুধুমাত্র সাইফুল ইসলামই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মেসার্স সামজিন কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি কোরীয় প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ৩৩ হাজার টন গম আমদানি করে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ৬ আগস্ট। খাদ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দিতে এ গম খালাসের জন্য সামজিন কোম্পানির পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট আশরাফ আলী এন্ড সন্স। কিন্তু এ ব্যাপারে লিখিত চুক্তি হলেও সামজিন পরে তাদের কমিশন না দিয়ে চুক্তি বাতিল করে দেয়। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে শেখ আজিজুল হক ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি ৬ কোটি টাকা কমিশন দাবি করেন। অপরদিকে, মামলার বাদী হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত জাহাজটির চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং আমদানি করা গমের ৭ হাজার মেট্রিক টন বিক্রি করে আজিজুলকে প্রদানের আদেশ দেয়। কিন্তু সামজিনের শিপিং এজেন্ট জেকে শিপিং লাইন্স ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে গুদাম থেকে ৩৩ হাজার মেট্রিন টন গম গোপনে বিক্রি করে দেয়। ফলে আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও আজিজুলকে কমিশনের অর্থ প্রদান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
×