ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহবাজপুর ৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস উত্তোলন শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৬ অক্টোবর ২০১৬

শাহবাজপুর ৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস উত্তোলন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ার্কওভারের পর ভোলার শাহবাজপুর ৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাপেক্স সূত্র বলছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবারও গ্যাসকূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। এখান থেকে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। অভিযোগ রয়েছে, খননের মাত্র আট মাসের ব্যবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের খনন কূপটি বন্ধ করে দিতে হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজস্ব সক্ষমতা থাকার পরও কয়েকগুণ বেশি দামে গ্যাজপ্রমকে কাজ দেয়ার পর এখনও বিপাকে পড়তে হচ্ছে যার বড় উদাহরণ শাহবাজপুর। বাপেক্স সূত্র বলছে, ২৩ মে ২০১৫-এ গ্যাজপ্রম ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কুপটির খনন কার্য সম্পন্ন করে উৎপাদন শুরু করা হয়। কিন্তু আট মাস না পেরুতেই গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ও বালি আসতে শুরু করায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। যার প্রেক্ষিতে বাপেক্স গত ২৮ জানুয়ারি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এতে ভোলায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। দেশে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বন্ধ কূপ থেকে পুনরায় গ্যাসু উৎপাদনের লক্ষ্যে বাপেক্স জরুরী ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ওয়ার্কওভার কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বাপেক্সে যেখানে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকায় গ্যাস কূপ খনন করে সেখানে গ্যাজপ্রমকে ১৮৫ কোটি টাকা দিয়ে কূপ খনন করানো হয়। তাও আবার আট মাস না পেরুতেই বন্ধ করে দিতে হয়। বাপেক্সর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গ্যাজপ্রমের কাজের মান ভাল না হওয়াতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শাহবাজপুর ৪ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ২০-২৫ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করা যাবে। যাতে ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র, ৩৪ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রসহ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
×