ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অধিনায়ক ছাড়াই দল চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৬ অক্টোবর ২০১৬

অধিনায়ক ছাড়াই দল চূড়ান্ত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামনে মাত্র দুটি পথই খোলা আছে। হারলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিচরণ করার পরিধি কমে যাবে অনেক। সেক্ষেত্রে ফুটবলে পিছিয়ে পড়তে হবে আরও। হবে চরম ক্রমাবনতি। আর জিতলে বা যে কোন গোলের স্কোরলাইনে ড্র করলে আন্তর্জাতিক ফুটবল পরিসরে আরও ওপরের দিকে আরোহণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে উজ্জ্বল সম্ভাবনার। এখন দেখার বিষয়, কোনটা ঘটে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ভাগ্যে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাবইপর্বের প্লে-অফ টু’তে আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষার প্রতিপক্ষ ভুটান। ভেন্যু থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় (তবে বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের ভাষ্যমতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়!) এশিয়ান কাপের প্লে-অফে গত ২ ও ৭ জুন তাজিকিস্তানের সঙ্গে যথাক্রমে ০-৫ এবং ০-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। হারলেও আরেকটা ‘লাইফ লাইন’ পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভুটানের বিরুদ্ধে। কিন্তু হোম ম্যাচে ঢাকায় ভুটানকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ (০-০)। ফলে এখন এ্যাওয়ে ম্যাচে বেশ চাপে আছে বাংলাদেশ। ফিরতি ম্যাচে ভুটানকে হারাতে পারলে অথবা যে কোন গোলে ড্র করতে পারলেই এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। ইতিবাচক ও ভরসার কথা হচ্ছে কখনই ভুটানের সঙ্গে কোন ম্যাচে হারেনি বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভুটানের সঙ্গে ৬ ম্যাচ খেলেছে। তাতে জয়ের পাল্লা ভারি বাংলাদেশেরই। তারা জিতেছে ৪ ম্যাচে। বাকি ২ ম্যাচ ড্র হয়। বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়, ৩-০ গোলে, গ্রুপ পর্বে, সাফ সুজুকি কাপে, ভারতের কেরলে। আর নেতিবাচক দিক হচ্ছেÑ এর আগে কখনই ভুটানে গিয়ে খেলেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এবার সেখানে গিয়ে তাদের খেলতে হবে ঠা-ায়, টার্ফে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে (৭৬৫৬ ফুট) অনেক উঁচুতে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ভুটানের উদ্দেশে বিমানযোগে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এ লক্ষ্যে বুধবার ২৩ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কোচ সেইন্টফিট জানান গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে কোয়ালিফাই করাই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। গত ক’দিন ধরেই দল নিয়ে সেইন্টফিট যা বলে আসছিলেন, বুধবারের সংবাদ সম্মেলনেও সেই একই কথা বলেছেন। তবে নতুন কথাও বলছেন তিনি, ‘জাতীয় দল নির্বাচনে তিনটি বিষয়ের ওপর নজর দিয়েছি। ক্লাব লেভেলে পারফর্মেন্স, আমার অধীনে জাতীয় দলে ও ক্যাম্পে পারফর্মেন্স এবং ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী ট্যাকটিকাল চয়েজ।’ ২৩ জনের দল চূড়ান্ত করা হলেও ৩ জনকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। এরা হলেন : দুই ডিফেন্ডার ইয়ামিন মুন্না (চট্টগ্রাম আবাহনী) এবং মনসুর আমিন (আরামবাগ) ও মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি (মোহামেডান)। ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন ভুটানের সঙ্গে হোম ম্যাচে। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন ছয় ফুটবলার : এমিলি, সোহেল রানা, নেহাল, মামুন খান, মামুনুল ও এনামুল। ইনজুরি ও পারফর্মেন্সের কারণে বাদ পড়েছেন (৩ জন স্ট্যান্ডবাই বাদে) শহীদুল আলম সোহেল, সাদ উদ্দিন, মোঃ ইব্রাহিম, মাকসুদুর রহমান, ইয়ামিন খান, সারোয়ার জামান নিপু ও সোহেল মিয়া। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে বিপদেই পড়ে গেছে বাংলাদেশ। এখন এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই হোম ম্যাচের বাড়তি সুবিধা পাবে ভুটান। কিভাবে খেলবে বাংলাদেশ? টমের ভাষ্যমতেÑ বাংলাদেশ প্রথমত রক্ষণাত্মক খেলে আক্রমণে যাবে। দলে ডিফেন্ডারের পাশাপাশি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রাখা হয়েছে। ১০ অক্টোবর ম্যাচ। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলীয় অধিনায়কই ঠিক করতে পারেনি বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি! জানান হয়েছে ম্যাচের আগে চূড়ান্ত করা হবে দলীয় অধিনায়ক কে হবেন। বাংলাদেশ দল ॥ আশরাফুল ইসলাম রানা, মোঃ নেহাল, মামুন খান, তপু বর্মণ, মামুন মিয়া, আতিকুর রহমান ফাহাদ, রায়হান হাসান, রেজাউল করিম, এনামুল হক শরীফ, আতিকুর রহমান মিশু, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ^াস, ইমন মাহমুদ, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, মোঃ আব্দুল্লাহ, জুয়েল রানা, জাহিদ হাসান এমিলি, শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাফর ইকবাল, মেহবুব হাসান নয়ন, সোহেল রানা, রুবেল মিয়া ও এনামুল হক।
×