ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি-রফতানির পণ্য তালিকা বৃদ্ধি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৬ অক্টোবর ২০১৬

আমদানি-রফতানির পণ্য তালিকা বৃদ্ধি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশ সমৃদ্ধির দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে মতবিমিয় সভায় এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জনে সরকার ও রাজস্ব বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দল চারদিনের সফরে উত্তরাঞ্চলে এসেছেন। বুধবার প্রথম দিন বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজস্ব বোর্ডেও চেয়ারম্যান জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রফতানির পণ্য তালিকা বৃদ্ধি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অচিরেই নতুন পণ্য আমদানি-রফতানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্যও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’ এ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানিক ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ১১টি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানানো হয়। দুই মাসে ২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কৃষি খাতে দুই হাজার ৬৩ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এতে করে কৃষি খাতে বিতরণ বেশি হয়েছে ২৫৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ঋণ বিতরণ বাড়লেও এ খাতে এক টাকাও ঋণ দেয়নি বেসরকারী খাতের ছয় ব্যাংক। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকার বিপরীতে বিতরণ হয়েছে ৭০৪ কোটি টাকা যা ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত আট হাজার ২৬০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ হয়েছে এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলো তুলনামূলকভাবে অন্য খাতে ঋণ বিতরণে এগিয়ে থাকলেও কোন কৃষিঋণ দেয়নি বেসরকারী ফরমার্স, বিদেশী ব্যাংক আল-ফালাহ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার কৃষি ও অকৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা এবং বেসরকারী ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ৮ হাজার ২৬০ কোটি কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
×