ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে ॥ আইএমএফ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৬ অক্টোবর ২০১৬

প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে ॥ আইএমএফ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ ভাগে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী বছরও এ হার বজায় থাকতে পারে বলে অনুমান করছে সংস্থাটি। আইএমএফ প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসে আইএমএফ বলেছে, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। গত অর্থবছর (২০১৫-১৬) সরকারী হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ০২ শতাংশ। এদিকে বিশ্ব্যব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এই হার ৬ দশমকি ৯ হতে পারে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ডেনিম রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শিল্প কারখানায় নতুন করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি না করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক। একই সঙ্গে নতুন কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। বুধবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়ার্টার গার্ডেনে দুই দিনব্যাপী ডেনিম এ্যান্ড জিন্স বাংলাদেশ শো’য়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিক এ রাব্বানী ও ডেনিম এ্যান্ড জিন্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা স্বন্দীপ আগারওয়াল। তিনি বলেন, সরকার আগামী ২০১২ সালে রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তৈরি পোশাক রফতানির মাধ্যমে তার সিংহভাগ অর্জিত হবে। ভারতে ডেনিমের আগমন ৫০ বছর হলেও মাত্র ১০ বছর আগে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র পরিসরে ডেনিমের আগমন ঘটে জানিয়ে বিটিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গ্যাস সংযোগ দিলে এবং শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম না বাড়ালে মাত্র ২০ বছরে ভারতকে অতিক্রম করব। কারণ, এখানকার উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ ও উদ্যম অনেক বেশি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে চলমান স্থিতিশীলতা বজায় থাকার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। ফজলুল হক বলেন, ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। রফতানি আয় বাড়ার পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়নেও কাজ করে যাচ্ছে এ সেক্টর। গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে ৮০ শতাংশ নারী কাজ করছে। কিছুদিন আগেও এদেশের নারীরা নির্যাতিত ও অবহেলিত ছিল। অথচ এখন নারীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য পুরুষরা অপেক্ষা করে থাকে। ভিন্টেজ রিকল থিম নিয়ে ডেনিম পণ্যের ষষ্ঠ এ আসরে ডেনিম পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। রেডিসন ব্লু ওয়ার্টার গার্ডেনের পুরো ভেন্যুজুড়ে তৈরি করা হয়েছে ডেনিম ভিলেজ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি ডেনিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবারের ডেনিম উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে ডেনিম রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি ডেনিম পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে সরবরাহ করছে বাংলাদেশের উৎপাদনকারীরা। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ডেনিমের চাহিদা ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যার ৭০ ভাগ যোগান দেবে এশিয়ার দেশগুলো।
×