গাফফার খান চৌধুরী ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক মুক্তিযোদ্ধার বহু কষ্টের টাকায় কেনা বাড়ির জায়গা। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিক বনে গেছে দখলকারীরা। সম্প্রতি ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে বাড়ির জায়গায় এ্যাপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণের জন্য পাওয়া অনুমতিপত্রটি বাতিল করে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। রাজউক অনুমতি বাতিল করার পরেও দখল করা জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করছে দখলকারীরা। যদিও এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে দখলকারীদের পক্ষ থেকে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এসএম সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির জায়গা নিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, এ সংক্রান্ত ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। যার নম্বর-৩১৯। জিডিতে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িটি সাড়ে তিন কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত। ১৯৯৫ সালে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি থেকে অধ্যাপক ডাঃ এসএম সিদ্দিকুর রহমান স্ত্রী ইশরাত সিদ্দিকার নামে জমিটি কিনেন। জমির মধ্যে দুই কাঠা তার নামে আর দেড়কাঠা স্ত্রীর নামে। ক্রয়কৃত জায়গায় টিনশেড বাড়ি রয়েছে।
বাড়িটির কেয়ারটেকার হিসেবে এক হাত না থাকায় মানবিক কারণে দায়িত্ব দেয়া হয় বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার বাসিন্দা মোসলেম বেপারীকে। পরবর্তীতে মোসলেম বেপারীর মেয়ের জামাই নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫) বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। নুরু পেশায় গাড়ি চালক। নুরুর শ্যালক মিঠুর (২৮) সঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ির ইকবালের দুই ছেলে ইমন (২২) ও রিপনের (২০) সখ্য হয়। তারা নিয়মিত ওই বাড়িতে বসে আড্ডা দিতে থাকে। আস্তে আস্তে তারা মাদক ব্যবসাসহ নানা নাশকতামূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: