ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী

ঘাটতি থাকায় গ্যাস সংযোগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৫ অক্টোবর ২০১৬

ঘাটতি থাকায় গ্যাস সংযোগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ ঢাকাসহ দেশের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি জানান, গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো কর্তৃক গঠিত ভিজিল্যান্স টিম নিয়মিত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কর্মসূচী সম্পন্ন করে আসছে। এছাড়া চুরি বা অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিবের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় পরিচালিত ৩৭টি অভিযানের মাধ্যমে ৪৬ কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইন ও প্রায় ২৬ হাজার ৯৮৩টি বার্নারের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ’র অধিভুক্ত এলাকায় চলতি বছরের আগস্টে পরিচালিত অভিযানের মাধ্যমে নয়টি অবৈধ লাইন উচ্ছেদ ও দুটি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিঃ’র অধিভুক্ত এলাকায় আগস্টে পরিচালিত অভিযানের মাধ্যমে দুটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বেগম লায়লা বেগমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাসের চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি থাকায় সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণ এবং নতুন সংযোগ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের মজুদ, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন এলাকায় নেটওয়ার্ক বর্ধিত না করে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত এলাকায় পরিচালিত ৩৭টি অভিযানের মাধ্যমে ৪৬ কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইন ও প্রায় ২৬ হাজার ৯৮৩টি বার্নারের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ৫টি কয়লা ক্ষেত্রের সম্ভাব্য কয়লা মজুদের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এ কয়লার মান পৃথিবীর অনেক দেশের কয়লার চেয়ে উন্নত হলেও তা সহজেই উত্তোলনযোগ্য নয়। ভূপৃষ্ঠ হতে কয়লাস্তরের গভীরতা, জিওলজিক্যাল ও হাইড্রোলজিক্যাল কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কয়লা উত্তোলন বেশ জটিল। এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় পুনর্বাসনও একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে শুধু বড়পুকুরিয়া কয়লা হতে আন্ডাগ্রাউন্ড পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন মেট্রিন টন কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। এর বিস্তৃতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া দীঘিপাড়া কয়লা খনি উন্নয়নের জন্য সমীক্ষা চলমান আছে। কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধি করে তা হতে বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
×