ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বিল উত্থাপন

জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৫ অক্টোবর ২০১৬

জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ নির্বাচিত কোন জনপ্রতিনিধি পদে থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। নির্বাচনের জন্য তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আর নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চার্জশীট গ্রহণ হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে মন্ত্রণালয়। এমন বিধান রেখে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৬’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করেন বিরোধীদলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম। তাঁর আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। সংসদীয় উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ হবে ২১ সদস্যের। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে তারা নির্বাচিত হবেন। আরও বলা হয়েছে, আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পরিষদকে ১৫টি ভাগ করা হয়েছে। এক ভাগে একজন করে সদস্য ও প্রতি তিনটি ভাগে একজন করে সদস্য সংরক্ষিত আসন বিবেচনায় নির্বাচিত হবেন। বিলের ৬ ধারার চ উপ-ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বর্তমান প্রশাসক এবং নির্বাচিত এমপিসহ অন্যদের বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আর ১০(ক) ধারায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের কোন সদস্য ফৌজদারি মামলায় চার্জশীট প্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন। বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের কাছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন বা সরকারী কর্মকর্তারাও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সরকার গেজেট করে সরকারী কোন কর্মকর্তাকেও এ দায়িত্ব দিতে পারবে।
×