ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেপ্টেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ

মূল্যস্ফীতিতে কোরবানির ঈদের প্রভাব

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৫ অক্টোবর ২০১৬

মূল্যস্ফীতিতে কোরবানির ঈদের প্রভাব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মূল্যস্ফীতির প্রবণতা ছিল নিম্নমুখী। তবে কোরবানির ঈদের মাস সেপ্টেম্বর এতে প্রভাব ফেলেছে। এ সময় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আগের মাস আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কোরবানি ঈদকে ঘিরে মানুষের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। চাল, শাক-সবজি, মসলা, চিনি, লবণ, ফল, তেলসহ কিছু পণ্যের দাম আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বাড়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হার ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব কেএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য ঈদের পরে সাধারণত যে হারে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, এবার ততটা বাড়েনি। এই সেপ্টেম্বরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছিল। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মন্ত্রী মনে করেন। উল্লেখ্য, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সরকার গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। বিবিএস তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে কমেছে। সেপ্টেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ৭ শতাংশ। এদিকে শহর অঞ্চলে সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত উপখাত; যেমন- পরিধেয় বস্ত্রাদি, জ্বালানি ও আলো, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদির দাম গত মাসের তুলনায় বাড়ার কারণে মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা গত জুলাইয়ের তুলনায় আগস্ট মাসে ছিল দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
×