ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় ২১ মামলার আসামিকে গ্রেফতার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৫ অক্টোবর ২০১৬

সাতক্ষীরায় ২১ মামলার আসামিকে গ্রেফতার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনি উপজেলার ২১ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতনে দুই ভাইয়ের দুটি পা ভেঙ্গে দেয়ার পর এখন দুই ভাই রবিউল ও নুর ইসলাম পঙ্গু হতে বসেছে। জমি দখল, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ আশাশুনি থানায় রয়েছে এই মন্টুর নামে ২১টি মামলা। আরও কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। এরপরও মন্টু ও তার বাহিনীর হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নির্যাতিত আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজীর পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ইয়াকুব গাজী তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ইয়াকুব গাজী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তারা ভাইবোন বাবার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে তেতুলিয়া বাজারে প্রত্যেকে এক শতক করে জমি প্রাপ্ত হন। জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের কারণে ২১ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টু জনৈক দাউদের পক্ষ নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুবের ছেলে নুর ইসলাম গাজী ও রবিউল ইসলাম গোয়ালডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে মন্টু বাহিনী তাদের ধাওয়া করে। ওই সময় নুর ইসলাম ও রবিউল তিতুখালীর জগদীশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের বের করে আনে মন্টু বাহিনীর সদস্যরা। তারপর রাস্তায় ফেলে তাদের দুই ভাইকে বেদম মারপিট করা হয়। ভেঙ্গে দেয়া হয় তাদের দুই ভাইয়ের পা। এরপর সেখান থেকে তাদের নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় মন্টুসহ তার লোকজন। পরে বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের উদ্ধার ও মন্টু বাহিনীর সদস্য ফজলু গাজীকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জে মৃত দুইজনের নামে থানার নোটিস! নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৪ অক্টোবর ॥ সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মৃত দু’ব্যক্তির নামে নোটিস প্রদান করেছেন এক এসআই। মৃত ব্যক্তিরা হলো- সোহেল ও রিপন। সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকার সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজার ১৪২নং দাগের ৪৯ শতাংশ জমির বিষয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নোটিস প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি জিডির সূত্র ধরে এসআই জসিম উদ্দিন জমির মালিক উল্লেখ করে জুয়েল, সোহেল, রিপন, মিজানুর রহমান, মিনার হোসেন ও হাফিজুর রহমানের নামে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিস প্রদান করেন। যাদের মধ্যে বহু পূর্বেই সোহেল ও রিপন মৃত্যবরণ করেন। সোহেল ১৯৮৮ সালে ১৪ বছর আগে পানিতে ডুবে ও ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রিপন মারা যায়। তাদের দুজনকে জীবিত উল্লেখ করে নোটিস প্রদান করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী মধ্যপাড়া স্কুল রোড এলাকার আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি সোহেল ও রিপনকে জীবিত উল্লেখ করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদান করেন পুলিশের কাছে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই যাচাইবাছাই না করেই নোটিস প্রদান করেন। নোটিসপ্রাপ্তদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জসিম উদ্দিনের দফতরে সোমবার রাতে উপস্থিত থাকার জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু সোমবার রাতে ৬ ব্যক্তির মধ্যে চার ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন উপস্থিত না হওয়ায় সোহেল ও রিপনের মৃত্যুর বিষয়টি ফাঁস হয়।
×