ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে ধর্ষণের শিকার দুই শিশু

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৫ অক্টোবর ২০১৬

যশোরে ধর্ষণের শিকার দুই শিশু

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ প্রাইভেট পড়তে গিয়ে শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই শিশু। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা এই নির্যাতন ভোগ করছে বলে জানিয়েছে। নির্যাতিত শিশু দুটি পরস্পর চাচাত বোন। পৈশাচিক এ ঘটনা ঘটেছে বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে। শিশু দুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষিত এক শিশুর বাবা বলেন, আমার মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। আর আমার ভাইয়ের মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। ওদের দুইজনকে প্রাইভেট পড়ায় একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুন্না। প্রতিদিন বিকেলে মেয়ে দুটি ওই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যেত। তিনি জানান, ৩-৪ দিন ধরে মেয়ে দুটি আর প্রাইভেট পড়তে যেতে রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু ঘটনা না জানার কারণে পরিবার থেকে মেয়ে দুটিকে প্রাইভেট পড়তে যেতে বাধ্য করা হয়। অবশেষে গত সোমবার সন্ধ্যায় তারা মা ও চাচির কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। মেয়ে দুটি বলেছে, শিক্ষক মুন্না তাদের গলায় ছুরি ধরে প্রতিদিন ধর্ষণ করত। এ কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার তাদের জেনারেল হাসপাতালে এনেছি, বলেন ওই অভিভাবক। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেয়ে দুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয়েছে। তদের এক্স-রে করার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হবে। তারপর আসল ঘটনা বলা যাবে। কুমিল্লায় শিশু ছাত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই শিশুকে আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা রামচন্দ্রপুর গ্রামে শুক্রবার এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ধর্ষক ও তার সহযোগীদের হুমকির মুখে থানায় মামলা করতে দেরি হয় হতদরিদ্র ধর্ষিতার পরিবারের। জানা গেছে, জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কেন্ডা রামচন্দ্রপুর গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে রিপন (২৫) একই গ্রামের তার সহযোগী বদি মিয়ার ছেলে সুমন (২৩), আমিন মিয়ার ছেলে নাহিদ (২৪) ও গ্রামের ফারুকের সহযোগিতায় ৭ বছর বয়সী ২য় শ্রেণীর ওই শিশু শিক্ষার্থীকে শুক্রবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রিপন। এতে ওই শিশু গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সোমবার রাতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ধর্ষিতার দরিদ্র পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল প্রভাবশালী ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষিতার খোঁজখবর নেন এবং ধর্ষিতার মাকে বাদী করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সহায়তা করে।
×