ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজাকার মঞ্জু গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৪ অক্টোবর ২০১৬

 মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজাকার মঞ্জু গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৩ অক্টোবর ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক কুখ্যাত রাজাকার এনায়েত উল্লাহ মঞ্জুকে (৭০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত আটটার দিকে আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামের নিজবাড়ি থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে তাকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেত্রকোনা জেলা ইউনিটের কমান্ডার নূরুল আমিনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, আটপাড়া উপজেলার সুখারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বিধান কুমার সরকার সুজিত ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ জনকে আসামি করে নেত্রকোনা জজ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করেন। এরপর জজ আদালত মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগটির তদন্ত শেষ করে। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কুলশ্রী গ্রামের দুই সহোদর হেদায়েত উল্লাহ আঞ্জু (৮০), এনায়েত উল্লাহ মঞ্জু (৭০) ও সোহরাব ফকির ওরফে ছোরাপ আলীর (৮৮) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এদের মধ্যে আঞ্জু পলাতক এবং ছোরাপ আলী কারাগারে আছে। ওই তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি হিন্দু পরিবারকে দেশত্যাগে বাধ্য করার ছয়টি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে। মোবাইলের আলোয় অপারেশন ॥ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রোগী সংবাদদাতা, লাকসাম, কুমিল্লা, ৩ অক্টোবর ॥ মোবাইলের আলো দিয়ে লাইগেশন করতে গিয়ে মূত্রথলী কেটে ফেলেছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তার মাহবুবুল হক। ১২ দিন পর্যন্ত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মুক্তা। উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা মাসিক সভায় আজগরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। জানা যায়, আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামের তিন সন্তানের জননী মুক্তাকে ওই ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মী হাবিবা বেগম লাইগেশন করার জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর লাকসাম পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে আসেন তার বড় জা ফাতেমা খাতুন। পরিবার পরিকল্পনা ভিজিটর সাদিয়া সুলতানা রুহি ও ডাক্তার মাহবুবুল হক অপারেশন করেন। লাইগেশন করা অবস্থায় বিদ্যুত চলে গেলে মোবাইলের আলো দিয়ে রোগীর মূত্রথলি কেটে ফেলেন ডাক্তার মাহবুবুল হক। এ সময় ফাতেমা খাতুন মুক্তার স্বামী সিএনজি চালক হারুনুর রশিদকে ফোন করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মুক্তার স্বামী হাসপাতালে আসার পর ভিজিটর ও ডাক্তার মাহবুবুল হক জানান, রোগীর টিউমার হয়েছে। তাকে কুমিল্লার হাসপাতালে নিতে হবে। মুক্তার স্বামী হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও ভিজিটর সাদিয়া সুলতানাসহ কুমিল্লা মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে ভর্তি করে। মুক্তার স্বামী হারুনুর রশিদকে ভিজিটর সাদিয়া সুলতানা চিকিৎসা খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা দেন। ওই ক্লিনিকে সাত দিন থাকার পর রোগীর অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় পুনরায় পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ডাক্তার মাহবুবুল হকের বক্তব্য নেয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
×