ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মামলায় আটকা ৩১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৪ অক্টোবর ২০১৬

মামলায় আটকা ৩১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বর্তমানে প্রায় ২৪ হাজার আয়কর, শুল্ক ও মূসক বিষয়ক মামলা চলমান রয়েছে। আর এসব মামলার কারণে সরকারের ৩১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার রাজধানীর বিসিএস কর একাডেমিতে ‘উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন আয়কর, শুল্ক ও মূসক বিষয়ক মামলার ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায় এনবিআর। তবে এই বিপুল রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, বিচারাধীন আয়কর মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে এ্যার্টনি জেনারেলের অফিস। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্টদের এ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সব পক্ষকে ইতিবাচক মনোভাব ও সমাধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি। মাহবুবে আলম বলেন, রাজস্ব বোর্ডের আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সমগোত্রীয় মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এতে করে রাজস্ব সংগ্রহের গতি ত্বরান্বিত হবে পাশাপাশি মামলার সংখ্যাও কমে যাবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যেসব দুর্বলতা আছে তা দূর হবে। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব উন্নয়নের অক্সিজেন। তাই উন্নয়ন করতে হলে রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। আর এসব মামলা নিষ্পত্তিতে এ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মতবিনিময়ের মাধ্যমে উভয়পক্ষের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকারের পক্ষে রায় আসার সম্ভাবনা বাড়ে। তিনি বলেন, চলতি মাসেই আয়কর আনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে। আর আমি আশা করছি এসব উদ্যোগের ফলে রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। একই সঙ্গে কমবে মামল জট। বৃদ্ধি পাবে সরকারের রাজস্ব আদায়। মতবিনিময় সভায় এনবিআরের পক্ষ থেকে ১৪টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্টের ডেডিকেটেড বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এক কোটি টাকার উপরে মামলাগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা। একই সঙ্গে কজলিস্টে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং এ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা। সভায় এনবিআরের সদস্য, এ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের কর্মকর্তারা, হাইকোর্টের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা ও ঢাকার সব কর অঞ্চলের কর কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
×