ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভাল খেলা উপহার দিতে চান বাটলার

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৩ অক্টোবর ২০১৬

ভাল খেলা উপহার দিতে চান বাটলার

মোঃ মামুন রশীদ ॥ সম্প্রতিই ঘরের মাটিতে একটি সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড দল। উপমহাদেশের দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে তারা ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে। আর এরপরই বাংলাদেশ সফরে এসেছে তারা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে তাদের এ সফর। যদিও নিরাপত্তা ইস্যুতে আসেননি নিয়মিত অধিনায়ক ইয়ন মরগান এবং নির্ভরযোগ্য দুই ক্রিকেটার এ্যালেক্স হেলস ও জো রুট। কিন্তু এখন যে দলটি আছে সেটা নিয়েই ভাল খেলার দিকে মনোযোগী সবাই। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে এখন আর কোন চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। এ কারণে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলার মনে করছেন সিরিজটি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ হবে এবং আশা করছেন ঘরোয়া কন্ডিশনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে বাংলাদেশ দল। এ কারণে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকা জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। এ কারণে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চান এবং দ্রুত ব্যাট চালানোর আশা তার। রবিবার বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাটলার। সবার আগে জরুরী বিষয় কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। উপমহাদেশের উইকেটে সেটা নিয়েই সবসময় ভুগতে হয় সফরকারী দলগুলোর। এটা নিয়েই মূলত এখন বড় ভাবনা ইংল্যান্ড দলের। নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক শঙ্কা থাকলেও এখন সেসব চিন্তা থেকে দূরে থেকে খেলাতেই মনোযোগী হতে চান ক্রিকেটাররা। এ বিষয়ে বাটলার বলেন, ‘যে কোন সিরিজের আগেই নিরাপত্তা নিয়ে অনেক কথা হয়। এখন পর্যন্ত ওরা সবসময় আমাদের খেয়াল রেখেছে। সিরিজ নিশ্চিত করতেই এবার এত কড়াকড়ি। আমরা সিরিজ খেলতে এসেছি। আজ (রবিবার) অনুশীলন শুরু হবে। এখন এসব বিষয় (নিরাপত্তা) আড়ালে চলে যাবে। বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ইংল্যান্ড ও সবার জন্যই এটা দারুণ ব্যাপার, আমরা এসেছি। উপভোগ্য একটা সিরিজ হবে বলেই আশা করছি। আমরা ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা হতে চাই। সেটা করতে হলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’ ঘরের মাঠে গত কয়েক বছর ধরেই দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ দল। টানা জয়ের মধ্যেই আছে তারা। কিন্তু ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে খেলার ধরনটাও পাল্টাতে হবে বলে মনে করেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুব ভাল খেলছে। আমাদের সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনি সবসময় চাইবেন খেলার মধ্যে থাকতে। আমরা এখন ক্রিকেটেই মনোযোগ দিতে চাই।’ বেশ কয়েকজন অপরিহার্য ক্রিকেটারকে ছাড়াই এবার বাংলাদেশ সফরে আসতে হয়েছে ইংল্যান্ড দলকে। এর পেছনে ছিল নিরাপত্তার কারণ। সর্বশেষ ঘরের মাটিতে সিরিজেও রুট, হেলসরা দুর্দান্ত খেলেছেন। কিন্তু তারা নেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সিরিজে। এ বিষয়ে বাটলার বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক ভাল কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে। যারা দলে জায়গা করে নিতে আগ্রহী। দলে এখন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা জায়গা করে নেয়ার জন্য। বেন ডাকেট, স্যাম বিলিংসের মতো খেলোয়াড়রা আছে। হেলস-রুট আমাদের খুবই ভাল দু’জন খেলোয়াড়। ইংল্যান্ড দলকে বর্তমানে অনেক কিছুই দিচ্ছেন তারা। আশা করছি তাদের অভাবটা আমাদের টের পেতে হবে না।’ বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলাটা মোটেই সহজ হবে না। আর অধিনায়ক হিসেবে প্রথম মিশনটাই উপমহাদেশের মাটিতে। এ বিষয়ে বাটলার বলেন, ‘উপমহাদেশে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। কিন্তু আমি এটা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। আমি সহঅধিনায়ক হিসেবে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভিন্ন ধরনের এই কন্ডিশনে আমাদের খুব ভাল প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা এখানে ভাল ক্রিকেট খেলতে এসেছি। সেই চেষ্টাই করব।’ বাংলাদেশের ধীরগতির উইকেট নিয়েও বেশ চিন্তা করছেন বাটলার। বিশেষ করে এখানে বাংলাদেশের স্পিনাররা দারুণ কার্যকর সেটা নিয়েও ইংল্যান্ড দল ভাবছে। এ বিষয়ে বাটলার বলেন, ‘এটা ছেলেদের জন্য খুব ভাল চ্যালেঞ্জ হবে। দুবাইয়ে আমরা গত বছর শীতে একটা সিরিজ খেলেছি, যেখানে এ ধরনের পিচে ভাল খেলেছিলাম। আমাদের সবধরনের কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে জিততে হবে। আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই এবং দ্রুত ব্যাট চালাতে চাই। বাংলাদেশের ধীরগতির উইকেটে খুব ভাল স্পিনার আছে। কিন্তু ওদের পেসাররাও খুব ভাল। এটা দারুণ একটা সিরিজ হবে, সিরিজে ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গত ১৮ মাস আমরা খুব ভাল খেলছি। উত্তেজনাকর ক্রিকেট খেলছি। আমরা চাই এখানেও সেটা করার। এ কন্ডিশনে হয়তো একটু ধরনটা পাল্টাতে হবে।’
×