নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২ অক্টোবর ॥ বাউফলে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ডিলারের দোকানে দুই ধরনের চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এ নিয়ে দুস্থদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে রবিবার দুপুরে সরেজমিন মদনপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া চৌমোহনী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডিলার রফিকুল ইসলামের দোকানের সামনে কয়েকজন হতদরিদ্র লোক চিৎকার করছেন।
কারণ জানতে চাইলে এদের মধ্যে একজন বলেন, ডিলার মুখ চিন্ন্যা খাদিম দিচ্ছে। যারা পরিচিত তাদের ভাল চাল দিচ্ছে, আর আমাগো দিচ্ছে খারাপ চাল। এ সময় ডিলার রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা যে চাল পেয়েছি, সেই চালই বিক্রি করছি। তিনি স্বীকার করেন, যে সব চালের বস্তা মেশিনে সেলাই করা সেগুলোর মধ্যে ভাল চাল পাওয়া গেছে। আর হাতে সেলাই বস্তার মধ্যে কিছুটা নিম্নমানের লালচে চাল পাওয়া গেছে। সব চাল তারা একত্রে মিলিয়ে বিক্রি করছেন। এর ফলে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সরবরাহকৃত বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদফতরের জন্য লেখা রয়েছে। উৎপাদনের তারিখ জানুয়ারি ২০১৪ সাল, স্টার মিলস লিঃ লেখা রয়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খাদ্য গুদাম থেকে মেশিনে মুখ সেলাই বস্তা ভর্তি ভাল মানের চাল দেয়া হলেও সেই চাল কালোবাজারে ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। আর কম টাকায় হাতে সেলাই করা বস্তার নিম্নমানের চাল কিনে এনে তা ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে। শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার সপ্তাহে তিন দিন চাল বিক্রির নিয়ম থাকলেও কেন রবিবার তা বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে ওই ডিলারের ভাই সেলিম বলেন, কালাইয়া খাদ্যগুদাম থেকে বিক্রির জন্য ১২ টন চাল আনা হয়েছিল। শনিবার দিন সব চাল বিক্রি না হওয়ায় রবিবার বাকি চাল তিনি বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক বলেন, বস্তা দুই রকম হলেও চাল নিম্নমানের হওয়ার কথা না, কাছাকাছি মানের হওয়ার কথা। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।