ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় বরফ সঙ্কটে ইলিশ সংরক্ষণ ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩ অক্টোবর ২০১৬

কলাপাড়ায় বরফ সঙ্কটে ইলিশ সংরক্ষণ ব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২ অক্টোবর ॥ লোডশেডিং এবং দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা বরফকল বন্ধ রাখার পল্লী বিদ্যুত সমিতির চিঠিতে উৎপাদন ব্যাহতের কারণে বরফের ভয়াবহ সঙ্কটে পড়েছে দক্ষিণের বড় মোকাম আলীপুর ও মহিপুরের মৎস্যজীবীরা। ফলে ভরা মৌসুমে প্রচুর ইলিশ আহরণ করলেও ইলিশের গুণগত মান বজায় রাখতে পারছে না। এছাড়া সাগর থেকে ইলিশ শিকার শেষে ফের দ্রুত বরফ নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যেতে পারছে না। ফলে হাজার হাজার মৎস্যজীবী এখন চরম বিপদে পড়েছে। ইতোপূর্বে কয়েক বছর সরকারের উর্ধতন মহলের নির্দেশনায় ইলিশের মৌসুমে যেখানে মহিপুর-আলীপুরের জন্য বাড়তি বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়েছে। সেখানে এ বছর লোডশেডিং এর পাশাপাশি উল্টো ভরা মৌসুমে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বরফকল বন্ধ রাখতে লিখিত অনুরোধ সংবলিত চিঠি দেয় কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি। ফলে এ পেশা সংশ্লিষ্ট অন্তত ৬০ হাজার পরিবার এখন চরম বিপাকে পড়েছে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর এ বছর প্রচুর ইলিশ সাগরে ধরা পড়ছে। এ সুযোগে দীর্ঘদিনের লোকসান পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি জেলেরাও তাদের দাদনের বোঝা অনেকটা হাল্কা করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুত সমিতি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে না পারায় মৎস্যজীবীরা সঙ্কটে পড়েছে। এমনিতেই এ বছর এমোনিয়া গ্যাসের এবং লবণের দাম দ্বিগুণ ও বরফের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুত বিভ্রাটের মতো বহুমুখী সমস্যায় পড়েছে হাজার হাজার মৎস্যজীবী। বিষয়টি সমাধানে পল্লী বিদ্যুত কলাপাড়ার কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছে আড়ত মালিকসহ মৎস্যজীবীরা। কিন্তু তারা নির্বিকার। এফবি মা-বাবার দেয়া ট্রলারের রতন মাঝি জানান, প্রয়োজনীয় বরফ না পেয়ে দুই পাড়ে এখন অপেক্ষা করছে শত শত ট্রলার। একই মন্তব্য মাঝি শেখ ফরিদের। অবস্থা এমন হয়েছে যে ১২০ টাকা ক্যান দরের বরফ দুই শ’ টাকায়ও কিনতে পারছে না। কেউ খোলা বরফ নিয়ে ছুটছে সলিড বরফের দাম দিয়ে। জেলেরা জানায়, এক ক্যান সলিড বরফে অন্তত দেড় মন বরফ হয়। আর খোল বরফে হয় সর্বোচ্চ এক মন। বরফকল মালিকরা জানান, এক ক্যান সলিড বরফ উৎপাদনে টানা ৩০-৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু টানা বিদ্যুত পাওয়া যায় না অধিকাংশ সময়।
×