ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাক সেনাবাহিনী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেরদাবি চ্যালেঞ্জ করেছে

পাকিস্তানের অবস্থা অচেতন রোগীর মতো ॥ পারিকর

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩ অক্টোবর ২০১৬

পাকিস্তানের অবস্থা অচেতন রোগীর মতো ॥ পারিকর

পাকিস্তানের অবস্থাকে অস্ত্রোপচারের পর ‘অচেতন রোগীর’ সঙ্গে তুলনা করেছে ভারত। হনুমানের মতোই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের বীরবিক্রমের পরিচয় জানান দিয়েছে বলেও বলা হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত) চালানোর ভারতীয় দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও উস্কানি কারও পক্ষে যাচ্ছে না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডনের। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জঙ্গী আস্তানায় ভারতের চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শনিবার উত্তরাখ- রাজ্যের পুরি জেলায় এক সমাবেশে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের অবস্থা অস্ত্রোপচারপরবর্তী ওই অচেতন রোগীর মতো, যে বুঝতেই পারেনি যে তার দেহে ইতোমধ্যে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দুই দিন পরও পাকিস্তানের কোন ধারণা নেই যে, কী ঘটেছে।’ ভারত শান্তি ভালবাসে এবং বিনা উস্কানিতে আগ্রাসনে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ অভিযানের মাধ্যমে আমরা পাকিস্তানকে যে বার্তা দিয়েছি তা হলো- ভারতীয় সৈন্যরা জানে কিভাবে পাল্টা জবাব দিতে হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে রামায়নের হনুমানের সঙ্গে তুলনা করেন মন্ত্রী। এতে বলা হয়, হনুমান তার অসাধারণ শক্তিমত্তার কথা জানার পর এক লাফে মহাসাগর পাড়ি দেয়। পারিকর বলেন, ‘ভারতীয় সৈন্যরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে তাদের শক্তিমত্তার কথা একদমই জানত না।’ তিনি বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আমাদের বাহিনীকে এ ধারণা দিয়েছে যে, তাদের কী করার সক্ষমতা আছে। এ অভিযানের পর পাকিস্তান হতভম্ভ।’ এদিকে, পাকিস্তানের আইএসপিআরের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়া নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) কাছে শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, উত্তেজনা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের উস্কানি কারও জন্য ভাল নয়। আমরা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করিনি এবং করতেও চাই না। যুদ্ধংদেহী সব মন্তব্য এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে। ভারত সাতটি স্থানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করেছে। এর মধ্যে দুটি স্থান- ভিম্বের সেক্টরের বাগসার ও হট স্প্রিংয়ের ম-লে ২০টি মিডিয়ার দেশী-বিদেশী ৪০ সাংবাদিককে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দুটি স্থানে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের দুই সেনা সদস্য মারা যান। আঞ্চলিক কমান্ডার এবং সামরিক মুখপাত্রের ব্রিফিং শুনে সাংবাদিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা সন্দেহজনক অন্য কোন কর্মকা-ের খবর নাকচ করে দেয়। জেনারেল বাজওয়া সাংবাদিকদের বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এর থেকে বোঝা যায় যে, ভারতের দাবির কোন বাস্তবতা নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নিহতদের লাশ কোথায়? ভারতীয় সেনাদের অভিযানে কোথায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? কিভাবে ভারতীয় সৈন্যরা এলো এবং এ কঠিন পথ পেরিয়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে আবার সবাই বিনা চ্যালেঞ্জে ফিরে গেল?
×