ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৩ অক্টোবর ২০১৬

সোশ্যাল মিডিয়ার  ক্ষতিকর প্রভাব

ইংল্যান্ডের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। দেখা গেছে, ১৬ থেকে ২৪ বছরের তরুণীরা পূর্বের চেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। সবশেষে বলা হয়, ‘তরুণীরা উচ্চ ঝুঁকির গ্রুপে রয়েছে।’ মানসিক বিষণœতা এখন এত সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এই বয়স গ্রুপের প্রতি চারজনের একজন একপর্যায়ে গিয়ে নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে। সরকারী অর্থায়নে করা এ্যাডাল্ট সাইকিয়াট্রিক্ট মরবিডিটি জরিপে এমন তথ্য জানা গেছে। গবেষকরা দেখেছেন, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ২৬ শতাংশের উৎকণ্ঠা, বিষণœতা, ভীতি, বিতৃষ্ণা অথবা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার ছিল। সর্বোপরি সকল বয়সের নারীর ১৯ শতাংশের এসব সমস্যার যে কোন একটি ছিল। সেক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পুরুষের রয়েছে এ সমস্যা। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে নিজের মাধ্যমে ক্ষতি করা ১৬ থেকে ২৪ বছরের পুরুষের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের ডিন কেট লোভেট বলেন, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বৃদ্ধির কারণ পুরোপুরি বুঝতে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন। তবে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের কারণে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ক্রনিক মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি সুস্পষ্টরূপে হতাশার। এ সমস্যার মূল কারণ হতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। লভেট বলেন, ‘কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ইন্টারনেটে সময় কাটায় অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের বিষণœতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি। খবর গার্ডিয়ানের।
×