ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীত আসি আসি করছে, খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩ অক্টোবর ২০১৬

শীত আসি আসি করছে, খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আশ্বিনের মাঝামাঝিতেই এবার পড়তে শুরু করেছে হাল্কা কুয়াশা। শীতের এই আগমন বার্তা মিলছে সকালের সবুজ ঘাসে। গাছ-গাছালিসহ প্রকৃতির সর্বাঙ্গেই এখন শীতের আবহ। তাই সাড়া পড়ে গেছে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। এ কারণে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তারা গাছ কেটে ছেঁটে পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন। একটু একটু করে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাছিদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, বছরের এই সময়ে শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় খেজুর গাছ পরিস্কার করতে স্থানীয় গাছিরা এখন মহাব্যস্ত। খেজুরের গাছ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হলেও জেলার কিছু কিছু এলাকায় এখনও চলছে রস সংগ্রহের পালা। ফলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোটবড় বিভিন্ন খেজুর গাছ ঝুঁকি নিয়ে গাছিরা কাটার কাজ শেষ করেছে। কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে ঝুলে রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা। পেশাদার গাছিদের তেমন কোন সমস্যা না হলেও রস সংগ্রহের জন্য স্থানীয় এক শ্রেণীর উৎসুক মানুষও পিছিয়ে নেই। তারা গাছে ওঠা-নামা করছে রস সংগ্রহের জন্য। আশ্বিনের শুরুতেই গাছের তোলা ও পরিচর্যা করে থাকেন গাছিরা। দিনাজপুরের গ্রামের মাঠে পথের ধারে রয়েছে প্রচুর খেজুর গাছ। খেজুর রস সংগ্রহ করে কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে আমন ধান ঘরে তোলার পালা। তখন নতুন ধানের পিঠা, পুলি ও পায়েস তৈরির ধুম পড়ে যাবে গ্রামে গ্রামে। তাছাড়া খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া ও মুড়ি খাওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে। দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের গাছি জাহিদ, জহরুল, আজাহার মিয়া জানান, গাছ কাটার কাজ কষ্টের হলেও রস সংগ্রহে মজা রয়েছে। আমরা রস বিক্রি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে মোটামুটি ভালই আছি। তারা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে খেজুর রস আরও বেশি মিষ্টি হবে ও রস বেশি পাওয়া যাবে। গাছিরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বাজারে প্রতিকলস ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন।
×