ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্ধারিত রুটে নির্দিষ্ট সময়ে তাজিয়া মিছিল শেষ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৩ অক্টোবর ২০১৬

 নির্ধারিত রুটে নির্দিষ্ট সময়ে তাজিয়া মিছিল শেষ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হোসেনী দালান, কারবালা, বিবি-কা-রওজাসহ রাজধানীর যেখানে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কোনক্রমেই কাউকে ব্যাগ, টিফিনবক্স, প্রেসার কুকার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাইকরা দৌড়ে সরাসরি অনুষ্ঠানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ছুরি, বল্লম, দা ও তলোয়ার নিয়ে মিছিল করতে পারবেন না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে রবিবার দুপুরে পবিত্র মহররম মাসের আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া তাজিয়া মিছিল প্রসঙ্গে বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ধর্মীয় উৎসব সবাই করবে। এর নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র বদ্ধপরিকর বিধায় পুলিশ সব ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মীয় উৎসব পালন করার পাশাপাশি আমাদের সবাইকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে। নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিরাপত্তার জন্য কোন ছাড় দেয়া যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর জন্য নির্ধারিত রুটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাজিয়া মিছিল শেষ করতে হবে। এক এলাকার মিছিল নিয়ে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবে না। মিছিলে নিশান, পাঞ্জা ব্যবহারের জন্য ১২ ফিটের বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট কোন লাঠি বা বাঁশ ব্যবহার করা যাবে না এবং কোন ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। মহররমের ৯ তারিখে রাজধানীর কোথাও কোন তাজিয়া মিছিল কেউ করতে পারবে না বলেও জানান আছাদুজ্জামান মিয়া। পবিত্র আশুরার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হোসেনী দালান, কারবালা, বিবি-কা-রওজাসহ রাজধানীর যেখানে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান হয়, সেখানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে, প্রবেশমুখে আর্চওয়ে স্থাপন করে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করে লোকজনদের প্রবেশ করাতে হবে। কোনক্রমেই কাউকে ব্যাগ, টিফিন বক্স, প্রেসার কুকার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। সন্দেহ হলে দেহ তল্লাশী করতে হবে। কেউ চেকিং ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগত পাইকরা সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রত্যেক মিছিলে ও অনুষ্ঠানে অবশ্যই পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রত্যেককে আর্মব্যান্ড বা কটি বা জ্যাকেট দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে যাতে সহজেই তাদের চেনা যায়। মিছিলে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ করতে হবে। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পবিত্র আশুরা উৎসব সংক্রান্ত কমিটির প্রতিনিধি, ডিজিএফআই, এসবি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ ডিএমপির অন্য কর্মকর্তারা।
×