ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

ফেনি সকারের জালে আরামবাগের গোলবন্যা

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২ অক্টোবর ২০১৬

ফেনি সকারের জালে আরামবাগের গোলবন্যা

জাহিদুল আলম জয়, সিলেট থেকে ॥ সিলেট থেকে সুখস্মৃতি সঙ্গী করেই ঢাকা ফিরল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পর শনিবার রাতে সকার ক্লাব ফেনিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের (বিপিএল) ম্যাচে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন দুই ফরোয়ার্ড সাজিদুর রহমান সাজিদ ও জাফর ইকবাল। অপর গোলটি করেন মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহ। ফেনির হয়ে সান্ত¡নার একটি গোল করেন ফরোয়ার্ড চৌম্রিন রাখাইন। এই জয়ে ফেনি সকারকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১১। সমান ম্যাচে আগের ৯ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমে এসেছে লাডি বাবা লোলার দল। সিলেট পর্ব শেষ হওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ বিরতি থাকছে বিপিএলের। ভুটানের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের প্লেঅফ ও দুর্গা পূজার কারণে এই বিরতি। এরপর আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে প্রথম লেগের দশম রাউন্ডের খেলা শুরু হবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। আধিপত্য বিস্তার করে খেলা আরামবাগ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায়। একক প্রচেষ্টায় গোল করেন ফরোয়ার্ড সাজিদুর রহমান সাজিদ। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দ্রুতগতিতে ফেনি সকারের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন উদীয়মান এই ফরোয়ার্ড। এরপর প্লেসিং শটে জড়িয়ে দেন জালে (১-০)। ১৫ মিনিটে আরেকটি চোখ ধাঁধানো গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আরামবাগ। মাঝমাঠ থেকে লম্বা পাস দেন আরামবাগের ডিফেন্ডার আব্দুল হামিদ ভাসানি। এ সময় ফেনির ডিফেন্ডার কামারা হেড করে গোলরক্ষক সুজন চৌধুরীকে বল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়ান মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহ (২-০)। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে একমাত্র গোলটি করে ফেনি। ঘানার ফরোয়ার্ড নিটুয়াম ফ্রাঙ্কের হেড থেকে সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ড চৌম্রিন রাখাইন সহজেই গোল করেন (২-১) বিরতির পর ৬৩ মিনিটে তিন নম্বর গোল পায় আরামবাগ। মাঝমাঠ থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার থিয়াগো টাইসনের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ান সাজিদ (৩-১)। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় আরামবাগ। ফেনির সুমন কুমার দাস সাজিদকে টেনে ধরে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হলে হ্যাটট্রিক মিস হয় সাজিদের। সাজিদের নেয়া শট গোলরক্ষক ফেরালেও ফিরতি বল এসে সাইডপোস্টে লাগে। এরপর জাফর ইকবাল আলতো টোকায় জালে জড়ান (৪-১)। ৮৩ মিনিটে পাঁচ নম্বর গোল পায় আরামবাগ। মাঝমাঠ থেকে একক দক্ষতায় আব্দুল্লাহ বল নিয়ে দেন জাফর ইকবালকে। আগুয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে (৫-১)। ৮৬ মিনিটে দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আরামবাগের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক মিটুল হাসান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রেফারির এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন আরামবাগ কোচ সাইফুল বারী টিটু।
×