ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে শেখ সেলিম

আগে মানুষ চাইত ভাত কাপড়, এখন চায় ল্যাপটপ কম্পিউটার

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২ অক্টোবর ২০১৬

আগে মানুষ চাইত ভাত কাপড়, এখন চায় ল্যাপটপ কম্পিউটার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আগে মানুষ সাহায্য চাইত পরনের কাপড়, ভাত। আর এখন মানুষ চায় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, বিদ্যুত। আগে কোরবানির সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষ কোরবানির মাংস চাইত। এখন কোরবানিতে মাংস নেয়ার লোক পাওয়া যায় না। সবাই কোরবানি দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ এই সেমিনারের আয়োজন করে। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে যে প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছিল বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনা যা উদ্বোধন করেছেন তা চালু রাখা যাবে না। জনগণ জাহান্নামে গেলেও তাতে খালেদা জিয়ার কিছু যায় আসে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও জাতিসংঘে দুটি সম্মানজনক পুরস্কার অর্জনে তাঁকে সংসদে অভ্যর্থনা দেয়ার কথা জানিয়ে শেখ সেলিম বলেন, নারী ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনি এমনি তো আর শেখ হাসিনার প্রশংসা করে না। বাধ্য হয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সভাপতির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, আমাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিধারা ধরে রাখতে হলে আরও কয়েকবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। তাহলে আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো উন্নতি করতে পারব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে যে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন চলছে সেটা আবার ফিরে আসবে। কিন্তু দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। তাই শেখ হাসিনাকে আরও কয়েকবার ক্ষমতায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যেসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় ড্যাবের ডাঃ জাহিদ এবং তার কোম্পানির কারণে স্বাস্থ্য খাতে চরম দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। যার খেসারত এখনও অনেককে দিতে হচ্ছে। তাই বাংলাদেশকে যদি আগামীতে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে থাকতে হয় তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তো বটেই, পরের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। নইলে বিগত সময়ের মতো অন্য সরকার এসে চরম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই সরকারের সকল অর্জন মøান করে দেবে। মনে রাখতে হবে জনগণের শত কষ্ট হলেও বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারা কখনই চালু রাখবে না। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একাত্তরের দোসর বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। ক্ষমতা গ্রহণের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন। খালেদা জিয়া ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ উন্নয়নের কথা জনসম্মুখে স্বীকার না করলেও অন্তরে অন্তরে ঠিকই স্বীকার করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আকাশ থেকে বাংলাদেশের ওপর তাকালে কোন ধরনের কুঁড়ে ঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কারণ, এ দেশে কোন কুঁড়ে ঘর নেই। দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না। কেউ আর পেটের দায়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে না। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হারুন অর রশীদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু প্রমুখ। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ রশীদ-ই মাহবুব।
×